বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আরও একটি জলহস্তী আনা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালে ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে এই স্ত্রী জলহস্তী আনা হয়। এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপে পুরুষ জলহস্তী আনা হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়।
চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাৎ হোসেন জানান, সকালে দ্বিতীয় জলহস্তী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পৌঁছেছে। এই স্ত্রী জলহস্তীর বয়স ৯ বছর। এটির ওজন ৯০০ কেজি। ২১ সেপ্টেম্বর একটি ১২ বছর বয়সী পুরুষ জলহস্তী এখানে আনা হয়।
তিনি জানান, রংপুর চিড়িয়াখানাকে এক জোড়া বাঘ দিয়ে ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে এই প্রাণী দুইটি আনা হয়।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে এক জোড়া বাঘ রংপুর চিড়িয়াখানায় পৌঁছে দেওয়া হয়। কুমিরের আগের জায়গায় তৈরি নতুন খাঁচায় এ দুই জলহস্তীকে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ১৬টি বাঘ ছিল। এরমধ্যে দুটি রংপুর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ১৪টি বাঘ আছে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন জলহস্তীসহ বর্তমানে প্রাণীর সংখ্যা ৬২০। এই চিড়িয়াখানায় সর্বমোট ৬৮ প্রজাতির পশুপাখি রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৪ প্রজাতির পাখি ও চার প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণী আছে।
এর আগে, চলতি বছর ১৬ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয় এক জোড়া সিংহ। একই সময় আনা হয় চার জোড়া ওয়াইল্ড বিস্ট। দরপত্রের মাধ্যমে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকায় সিংহ, ম্যাকাও, ওয়াইল্ড বিস্ট, ক্যাঙ্গারু, লামা আমদানি করা হয়। ফ্যালকন ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রাণীগুলো আমদানি করে।
আরও পড়ুন: গাজায় ১১ ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত
প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক পরিচালিত বর্তমানে বাঘ, সিংহ ছাড়াও রয়েছে জেব্রা, ভাল্লুক, হরিণ (চিত্রা, সাম্বার, মায়া), উল্লুক, বানর, মেছো বিড়াল, চিতা বিড়াল, অজগর, বাঘডাসা, উটপাখি, ইমু পাখি, গয়াল, কুমির, ময়ূর, ঘোড়া, বক, টিয়াসহ ৬৮ প্রজাতির ৬২০টি পশুপাখি। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে চিড়িয়াখানা ২০১৯ সালে দলগতভাবে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক অর্জন করে।
বিএনএনিউজ/বিএম