24 C
আবহাওয়া
১০:৩৫ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » গুমের তদন্ত কমিশন এখন আয়নাঘর পরিদর্শনের ক্ষমতা পেল

গুমের তদন্ত কমিশন এখন আয়নাঘর পরিদর্শনের ক্ষমতা পেল

গুমের তদন্ত কমিশন

বিএনএ, ঢাকা:  আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বা সরকারের মদদে বলপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তির সন্ধান এবং গুমের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করার ক্ষমতা পেয়েছে গুমের তদন্ত কমিশন। কমিশনকে আয়নাঘরসহ গুমের শিকার ব্যক্তিদের আটকে রাখা অন্যান্য স্থান পরিদর্শন, যেকোনো ব্যক্তিকে তলব ও জিজ্ঞাসাবাদ করার ক্ষমতাও দেয়া হয়েছে।

গত রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। কমিশনকে ৯০ দিনের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন

গত ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। কমিশন ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান করার দায়িত্ব পেয়েছে। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কমিশনের কার্যপরিধি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং পূর্ববর্তী ২৭ আগস্টের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে। তবে কমিশনের সদস্যরা অপরিবর্তিত রয়েছেন।

নতুন প্রজ্ঞাপনের অধীনে কমিশনের কার্যপরিধি নিম্নরূপ:

(ক) ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা, বা সরকারের মদদে বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্তকরণ, গুমের কারণ নির্ধারণ এবং তথ্য সংগ্রহ করা।

(খ) বলপূর্বক গুমের ঘটনা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিবরণ দাখিল করা এবং সুপারিশ প্রদান করা।

(গ) গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া গেলে তাদের আত্মীয়-স্বজনকে অবহিত করা।

(ঘ) অন্য কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত তদন্তের তথ্য সংগ্রহ করা।

(ঙ) গুমের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা।

(চ) গুমের ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় আইন সংস্কারের সুপারিশ করা।

(ছ) উল্লিখিত উদ্দেশ্যে অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করা।

কমিশনের সদস্যরা হলেন প্রধান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস, এবং মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন। কমিশনস অব ইনকোয়ারি অ্যাক্টের ৩ ধারার অধীনে সরকার এ কমিশন গঠন করেছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিশনকে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সহায়তা ও ব্যয় সরবরাহ করবে।

বিএনএ, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ