বিএনএ ঢাকা: কোটা সংস্কারের ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান অন্তবর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।শনিবার (১৭আগস্ট) দুপুরের দিকে আহত রোগীদের দেখতে যান তিনি।
উপদেষ্ট ফরিদা আখতার সাংবাদিকদের বলেন, সহিংসতায় যারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তারা সবাই চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। ডাক্তাররা আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করছে।কিছু সমস্যা থাকবেই কারণ অনেক কিছুর সংকট আছে। অনেক এটেন্ডেস আসছে, সে কারণে ইনফেকশনের ভয় আছে।সেগুলো আমাদের বুঝতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের দিক থেকে একটি উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে।সেটা ওরা ঘোষণা দেবে। সেটা হচ্ছে, স্পেশালাইজড ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিট করতে বলছে। তাহলে ওই সময় যারা আহত হয়েছে, তাদেরকে আলাদা করা যাবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিচ্ছে। তবে আরেকটা জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে, কিন্তু একটা ঘাটতি আছে, যদি বার্ন ইউনিটের সাথে ক্যাজুয়ালটির সাথে মিলানো যায় তাইলে অনেক কিছু করতে পারবে। সবাইকে নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে, কিন্তু সময় দিতে হবে। উপদেষ্টা পরিষদের সাথে এসব বিষয় নিয়ে বসে কথা বলবো। স্বাস্থ্যসেবাকে প্রায়োরেটি দেওয়া হচ্ছে, সেক্ষেত্রে স্পেশালাইজড কেয়ার ইউনিট করা সম্ভব।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এই হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ২২০০ জন চিকিৎসা নিয়েছে। ৭৮৬জনকে ভর্তি করা হয়েছিল। বর্তমানে ১৬৩ ভর্তি আছে। এরমধ্যে আইসিইউতে আছে ৯জন। ৩জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালে এ পর্যন্ত ১৬৩জন মারা যায়, যার মধ্যে ৭৬টি স্পটডেড। বাকিরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
পরিচালক বলেন, ভর্তি রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই ভর্তি রোগীদের খরচসহ যেসব ওষুধপত্র -মেডিকেল আইটেম দরকার সব সাপ্লাই থাকে না। রোগীদের ফ্রি অফ কষ্ট চিকিৎসা দেওয়ার সংকট ছিল, সেটা আমরা কাটিয়ে উঠেছি। আমরা একটা ফান্ড তৈরী করেছি, সেই ফান্ড থেকে আহতদের বিনামুল্যে চিকিৎসা দিচ্ছি।
বিএনএ/ আজিজুল, ওজি/এইচমুন্নী