স্পোর্টস ডেস্ক: জেতা সম্ভব এমন ছয়টি শিরোপাই ২০০৯ সালে জিতেছিল পেপ গার্দিওলার বার্সেলোনা। সেই গার্দিওলার হাত ধরে দ্বিতীয় ইংলিশ ক্লাব হিসেবে এবার ট্রেবল জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এবার তার কাছে থাকে বছরের চতুর্থ শিরোপা ঘরে তোলার। অর্থাৎ উয়েফা সুপার কাপ দিয়েই শুরু হয়ে থাকে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের নতুন মৌসুম। যেখানে গার্দিওলার দলে সুযোগ থাকে চতুর্থ শিরোপা ঘরে তোলার।
তারই অংশ হিসেবে কাল উয়েফা সুপার কাপে সেভিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে ম্যানচেস্টার সিটি। যেখানে নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হলে, টাইব্রেকারে সেভিয়াকে ৫-৪ গোলে হারিয়ে প্রথম বারের মতো সুপার কাপের শিরোপা ঘরে তুলে ম্যানসিটি। আর এর মধ্যে দিয়ে বছরের চতুর্থ শিরোপা ঘরে তুলে গার্দিওলার দল।
ম্যাচের শুরুতেই প্রতিপক্ষের রক্ষণকে চেপে ধরার স্বভাবটা এই ম্যাচেও দেখিয়েছে সিটি। তবে ম্যাচের প্রথম ১৭ মিনিটের মধ্যে তিনবার জোরালো আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন দলটি। ম্যাচ গড়াতে থাকলে রক্ষণ ছেড়ে আক্রমণে উঠতে থাকে সেভিয়া। আক্রমণে প্রথম গোলও পেয়ে যায় স্প্যানিশ ক্লাবটি। ম্যাচের ২৫ মিনিটে মরক্কোর ফরোয়ার্ড ইউসেফ এন নেসিরি প্রথ লিড এনে দেন সেভিয়াকে। গোল খেয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভালোভাবেই চড়াও হয়েছিল সিটি।
তবে সেভিয়ার জমাট রক্ষণের সামনে তেমন সুবিধা করতে পারেনি গার্দিওলার শিষ্যরা। ফলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্প্যানিশ ক্লাবটি।
বিরতি থেকে এসে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর সহজ সুযোগ নষ্ট করে এন-নেসিরি। আর তাতেই উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ম্যানসিটি। ৬৩তম মিনিটে পালমারের গোলে সমতায় ফেরে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। এরপর দুদলই একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি কেউই। ফলে উয়েফার নতুন নিয়মানুযায়ী অতিরিক্ত ৩০ মিনিট খেলা ছাড়াই টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ।
রোমাঞ্চ ছড়ানো টাইব্রেকারে প্রথম পাঁচটি শটের সবগুলোই জালে জড়িয়েছেন সিটির আর্লিং হলান্ড, হুলিয়ান আলভারেজ, মাতেও কোভাচিচ, জ্যাক গ্রিলিশ ও কাইল ওয়াকার। সেভিয়াও গোল পায় প্রথম চারটিতেই। তবে নেমানিয়া গোদেলের নেওয়া পঞ্চম শট ক্রসবারে গিয়ে লাগলে হার সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয় ইউরোপা লিগ বিজয়ীদের। অন্যদিকে নেমানিয়ার শট মিস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রথমবারের মতো সুপার কাপ জয়ের উল্লাসে মাতে সিটি। এর মধ্যে দিয়ে বছরে নিজেদের চতুর্থ শিরোপা ঘরে তোলে সিটি।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ