বিএনএ, ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকার যাত্রী একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন।মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকালে পাঁচজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেয়া হয়। এদিকে ওই পরিবারের গৃহকর্তা নিহতের রুবেলের মরদেহের দাবিতে একে একে সাতজন স্ত্রী হাজির হয়েছেন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গের সামনে। তারা সবাই নিহত রুবেলের স্ত্রী দাবি করছেন।
যদিও সোমবার দুর্ঘটনার পর আহত রেজাউল করিম হৃদয়ের মা রেহানা বেগমের স্বামী হিসেবেই রুবেলের পরিচয় জানা গিয়েছিলো। হাসপাতালের মর্গের সামনে নিজেকে রুবেলের মেয়ে দাবি করা নিপা আক্তার নামের একজন তরুণী সাংবাদিকদের বলেন, আমার মায়ের নাম নার্গিস আক্তার। মায়ের সাথে বাবার ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মা পরে অন্য জায়গায় বিয়ে করেন। আমি মৃত্যুর খবর পেয়ে বাবাকে শেষবারের জন্য দেখতে এসেছি।
এদিকে রুবেলের দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম শাহেদা। তার ঘরে রত্না নামে ১৪ বছরের একটি মেয়ে আছে। তার বাড়ি মানিকগঞ্জ সিংগাইর এলাকায়। ঢাকায় উত্তরা থাকেন। তবে দ্বিতীয় স্ত্রী শাহেদা নিজেকে প্রথম স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন।
তিনি বলেন, আমার সঙ্গে ১৯৯৯ সালে বিয়ে হয়েছে। আমিই প্রথম। আমাকে সে কখনো বলেনি তার আরেকজন স্ত্রী আছে। রুবেলের তৃতীয় স্ত্রী দাবি করা আরেক নারীর নাম সালমা আক্তার পুতুল। মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় থাকেন তিনি। ঘরে বসে সেলাই মেশিনের কাজ করেন। ২০১৪ সালে রুবেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। রুবেলের সম্পর্কে তিনি জানতেন সে একজন ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ী। তবে, রুবেলের সঙ্গে বিয়ের কোনো সনদ নেই তার। এরপর পাতা খন্দকার নামে আরেকজন স্ত্রীর সন্ধান পাওয়া যায়। যাকে রুবেল বিয়ে করেন ২০২০ সালের দিকে। এছাড়া আরো তিনজন নারী রুবেলের স্ত্রী দাবি করে মর্গের সামনে মরদেহের জন্য অপেক্ষা করেন।
কিন্তু সব জল্পনা কল্পনার পর রুবেলের মরদেহ গ্রহণ করে হৃদয়ের পরিবার। তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মানিকগঞ্জে।
বিএনএ/এমএফ