বিএনএ, চট্টগ্রাম : এম এ লতিফ এমপি বলেছেন, ব্যবসায়ীরা হচ্ছে দেশের উন্নয়নের সারথী ও অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর উন্নয়নে ব্যবসায়িদের বড় ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের পিছনেও রয়েছে ব্যবসায়িরা। কিন্তু কতিপয় আমলা ব্যবসায়িদের প্রায় ভ্যাট, ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার নামে অহেতুক হয়রানি করে নিজেদের বাহাদুরি দেখায়! আগামীতে যদি কোন ব্যবসায়িকে অহেতুক হয়রানি করা হয়,ব্যবসায়িরা সম্মিলিতভাবে ওই সব ভ্যাট, ট্যাক্স, কাস্টমস আমলাদের ঘেরাও করে দাবি আদায় করা হবে।
সোমবার (১৭ জুলাই) রাতে রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম ভিউর মোহনা হল রুমে ‘ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির যাত্রায় বন্দরনগরীর তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী ৩১ জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত এফবিসিসিআই নির্বাচনে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্যানেল লিডার চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম এ সভার আয়োজন করেন।
এম এ লতিফ আরও বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বারের পাঁচবারের সভাপতি মাহবুবুল আলম ব্যবসায়ীদের সুখ দুঃখের সঙ্গী। এফবিসিসিআইর নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা উনাকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
আগামী ৩১ মার্চ এফবিসিসিআই নির্বাচনে মাহবুবুল আলম প্যানেলকে নির্বাচিত করার জন্য তিনি আহবান জানান।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি ও এফবিসিসিআই নির্বাচনে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্যানেল লিডার মাহবুবুল আলম বলেন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তারা। তাঁরা আবারও শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, জ্বালাও–পোড়াও আর হরতাল–অবরোধের যুগে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারও ফিরিয়ে আনার কারণ নেই। রপ্তানি, রেমিট্যান্স, মাথাপিছু আয়সহ সার্বিক উন্নয়নে গত ১৪ বছর ছিল বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ। সামনেও এ ধারা বজায় রাখতে হবে।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, আইকনিক বিজনেস লিডার মাহবুবুল আলম এফবিসিসিআইর ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্যানেল লিডার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চমৎকার ব্যবসায়ী নেতা। বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্য তিনি ধারণ করেন। তাঁর আন্তরিকতার কারণে প্যানেল লিডার মনোনীত করেছেন।
পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আপনারা বাংলাদেশের লিডার। মাহবুবুল আলম গ্রেট লিডার। আপনারা সোনার বাংলাকে হীরের বাংলা করবেন। আপনারা জাতির জন্য, মানুষের জন্য কাজ করবেন।
মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, আশাকরি মাহবুব ভাই বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের নেতা। চট্টগ্রামের মানুষ দেশকে ভালোবাসে। সব ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে মাহবুব ভাইয়ের হাত ধরে। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় ব্যবসায়ীদের সমস্যার সমাধান করবেন।
চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বার সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী বলেন, মাহবুবুল আলম নারীবান্ধব ব্যবসায়ী নেতা। কথা কম বলেন, কাজ করেন বেশি। ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সবাই সফল ব্যবসায়ী। ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে এসএমই খাত অবদান রাখবে। আপনারা মাহবুব ভাইয়ের পূর্ণ প্যানেলে ভোট দেবেন।
বিজিএমইএ প্রথম সহ সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ব্যবসার গতি বাড়াতে কাজ করেছেন মাহবুবুল আলম। বঙ্গবন্ধু কন্যা যার ওপর আস্থা রেখেছেন। চট্টগ্রাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ দেশের জন্য। বিজিএমইএ অনেক সমস্যা মোকাবেলা করছে। বে টার্মিনাল যাতে দ্রুত এগিয়ে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, বারভিডার হাবিব উল্লাহ ডন, বিজিএমইএ নেতা এমএ ছালাম, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ, সীকম গ্রুপের আমিরুল হক, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, মির গ্রুপের আবদুস সালাম, বাফার সহ সভাপতি খায়রুল আলম সুজন, ফ্রোজেন ফুড অ্যাসোসিয়েশনের মাহবুব রানা, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের রাকিবুল টুটুল, লবণ মিলস মালিক সমিতির নুরুল কবির, কোস্টাল শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশেনর এমএ বকর, চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, বিভাগীয় পণ্য পরিবহন সমিতির আবদুল মান্নান, শিপ ব্রেকিং অ্যাসোসিয়েশনের মাস্টার আবুল কাশেম, ফার্নিচার মালিক সমিতির মো. মাসুদুর রহমান, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ছালামত আলী, সালেহ আহমদ সোলেমান প্রমুখ।
বিএনএ/ওজি, এমএফ