16 C
আবহাওয়া
৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জুমার দিন দরুদ ও সুরা কাহাফ পাঠের গুরুত্ব

জুমার দিন দরুদ ও সুরা কাহাফ পাঠের গুরুত্ব

এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা, ইবাদতে পাপ মোচন হয়

ধর্ম ডেস্ক: জুমাবার মুসলমানদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন। রাসুল (স.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং  আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৮৪) আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৯৮)

জুমার দিনে কিছু আমল করতে বলা হয়েছে হাদিস শরিফে এবং প্রত্যেক আমলেরই বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। এর মধ্যে সুরা কাহাফ ও দরুদ পাঠের মর্যাদা অনন্য। প্রিয়নবী (স.) জুমাবারে এই দুই আমলের বিশেষ তাগিদ দিয়েছেন উম্মতকে।

জুমার দিনে দরুদ
নবীজির ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা জুমার দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এই দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব তোমরা এই দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে।’ (আবু দাউদ: ১০৪৭)

হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত অন্য হাদিসে প্রিয়নবী (স.) বলেন, ‘তোমরা জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ জিবরাইল (আ.) এইমাত্র আল্লাহ তাআলার বাণী নিয়ে হাজির হয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পৃথিবীতে যখন কোনো মুসলমান আপনার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে, আমি তার ওপর ১০ বার রহমত নাজিল করি এবং আমার সব ফেরেশতা তার জন্য ১০ বার ইস্তেগফার করে।’ (তারগিব: ৩/২৯৯)

জুমার দিনে সুরা কাহাফ
জুমার দিন সুরা কাহাফ পড়ার গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এই জুমা হতে আগামি জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মেশকাত: ২১৭৫)

আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম: ৮০৯; আবু দাউদ: ৪৩২৩) আরেক বর্ণনায় আছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৪৪৬/৬)

হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, যেভাবে নাজিল করা হয়েছে, সেভাবে যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ পড়বে, তার জন্য সেটা নিজের স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত আলো হবে এবং শেষ ১০ আয়াত পড়লে দাজ্জালের গণ্ডির বাইরে থাকবে আর দাজ্জাল তার ওপর কোনোরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। (সুনানে নাসায়ি: ১০৭২২)।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ