বিএনএ, পিরোজপুর : বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করা পি কে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছে। তার টাকা আত্মসাতের ঘটনা ২০ বছর আগে নিজের গ্রাম থেকে। স্কুলের টাকা আত্মসাৎ করে গ্রাম থেকে পালিয়ে যান।
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের দিঘীরজান গ্রামে বাড়ি প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের। তার পিতা দর্জি প্রবল চন্দ্র হালদার এবং মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মা লীলাবতি হালদার। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র হিসেবে চিনত স্থানীয় ও স্বজনরা। সেই মেধাবীই এখন দেশের কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎকারী ও প্রতারক পি কে হালদার।
হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎকারীর দেশের বাইরে অঢেল সম্পদ থাকলেও তার জন্মভিটায় নেই কিছুই। এমনকি তার পৈতৃক ঘরটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর সেখানে নতুন করে একটি ঘরও তোলেননি পি কে।
জানা যায়, বুয়েট থেকে পাস করে ব্যাংকে চাকরি নেন পি কে হালদার।
এরপর তিনি মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসতেন। এক পর্যায়ে পি কে যে বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন সেই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। তবে ওই বিদ্যালয়ের আর্থিক বিষয় নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলে জানান ওই গ্রামের বাসিন্দা আসমত আলী মোল্লা। প্রায় ২০ বছর আগের এ ঘটনার পর বাড়িতে খুব একটা আসতেন না পি কে হালদার।
স্কুল কমিটির টাকা নিয়ে পি কে হালদারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন তার প্রতিবেশী ভাবি অঞ্জলি হালদার।
এ ঘটনার পর পি কে তার মা ও বাবাকে ঢাকায় নিয়ে যান। এরপর দীর্ঘ এ সময়ে গোপনে এক-দুবার বাড়িতে এলেও ছিলেন লোকচক্ষুর আড়ালে।
পি কের অন্য দুই ভাই প্রাণেশ হালদার এবং পীযূষ হালদার অনেক আগেই ভারত চলে গেছেন এবং সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।