27 C
আবহাওয়া
১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ‘এমভি আব্দুল্লাহ’য় ভারি অস্ত্রে ২২ জলদস্যু !

‘এমভি আব্দুল্লাহ’য় ভারি অস্ত্রে ২২ জলদস্যু !


বিএনএ ডেস্ক : জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ সোমালিয়ার উপকূল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ সময় জাহাজে আরও সশস্ত্র জলদস্যু উঠেছে। শুক্রবারের পর জিম্মি জাহাজটির নাবিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষ বা নাবিকদের পরিবারের সদস্যদের যোগাযোগ হয়নি। এখনো যোগাযোগ করেনি জলদস্যুরা। ফলে দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতার প্রহর দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।

YouTube player

সাধারণত দস্যুরা নাবিক ও জাহাজ নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নেওয়ার পর সময় নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। বাংলাদেশি জিম্মি জাহাজটি দস্যুদের নিয়ন্ত্রিত সোমালিয়ার উপকূলীয় এলাকায় নেওয়ার পর তিন দিন পেরিয়েছে। এরপরও আরও কিছু সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এস আর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম জানিয়েছেন নতুন করে জাহাজে আরও জলদস্যু ওঠায় বর্তমান পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক। তবে জলস্যুদের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত মুক্তিপণ দাবি করা হয়নি।

মেহেরুল করিম আরও বলেন, জাহাজাটি সোমলিয়া উপকূল থেকে ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করলেও শুক্রবার বিকালে অবস্থান বদল করে। বর্তমানে এটি ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে। জাহাজটিতে আরও নতুন করে ১৩ জন সশস্ত্র জলদস্যু উঠেছে। বর্তমানে জাহাজটিতে ২২ জন জলদস্যু অবস্থান করছে।

এর আগে গত ১৫ ই মার্চ শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জাহাজটির চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খান এক ই-মেইল বার্তায় জানান, গত ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূল গারাকাতে নোঙর করা হয়েছিল। একদিন বিরতির পর আবার চলতে শুরু করেছে ‘এমভি আবদুল্লাহ’। শুক্রবার সকালে জলদস্যুদের নির্দেশে নোঙর তুলে ফেলা হয়েছে। এরপর জলদস্যুরা জাহাজটি চালাতে নির্দেশ দেয়।

কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জিম্মি নাবিকসহ জাহাজ উদ্ধারে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। দস্যুরা যোগাযোগ না করলেও আমরা বসে নেই। আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি, যাতে দস্যুরা যোগাযোগ করার পর দ্রুত সমঝোতার কাজগুলো এগিয়ে নেওয়া যায়।’

প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিং মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে সোমালিয়ার জলদস্যুরা এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নেয়। জাহাজটিতে ২৩ নাবিক রয়েছেন। এদের সবাই বাংলাদেশি।

এদিকে সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র ওপর নজর রাখছে একটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ। বাংলাদেশি জাহাজকে সহায়তা করতে কাছাকাছি এলাকায় ভারতীয় যুদ্ধজাহাজের পাশাপাশি একটি দূরপাল্লার সামুদ্রিক টহল উড়োজাহাজও অবস্থান নিয়েছে।

বিএনএ/ সৈয়দ সাকিব, ওজি/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ