বিএনএ, কক্সবাজার : কক্সবাজার থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরত্বে টেকনাফ উপজেলায় সাবরাং নামক এলাকায় এক হাজার ৪১ কিলোমিটার জমিতে গড়ে উঠছে নতুন এক পর্যটন অঞ্চল। বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) যার নাম দিয়েছে ‘সাবরাং পর্যটন অঞ্চল’। থাইল্যান্ডের পাতায়ার আদলে সাবরাংকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন অঞ্চলে রূপ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত দেখার পর পর্যটকরা সাবরাং পর্যটন অঞ্চল ও সেন্টমার্টিন একসঙ্গে দেখার সুযোগ পাবেন।
কক্সবাজারের কলাতলী থেকে টেকনাফের যেখানে গিয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়কটি শেষ হয়েছে, তার পাশেই ১ হাজার ৪১ একর জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে সাবরাং পর্যটন অঞ্চল। এর একদিকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত আর অন্যদিকে সারি সারি পাহাড়। এ দুইয়ে মিলে টেকনাফের সাবরাংকে থাইল্যান্ডের পাতায়ার আদলে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন অঞ্চলে রূপ দেওয়ার কাজ চলছে পুরোদমে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনটি তারকা হোটেল নির্মাণের কাজ শুরুর মধ্য দিয়ে সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। গ্রেট আউটডোর অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার লিমিটেড, গ্রিন অরচার্ড হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড এবং সানসেট বে লিমিটেড নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান ৫.৫ একর জমিতে ৩২.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৫৭ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে পাঁচ তারকা ও তিন তারকা মানের হোটেলসহ পর্যটন বান্ধব বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের এই কাজ করছে। এছাড়া ৯টি পর্যটনবান্ধব প্রতিষ্ঠানের আরও ২১২.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার কথা রয়েছে। এই বিনিয়োগকারীর তালিকায় নেদারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের দুটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
বর্তমানে এ পর্যটন অঞ্চলের প্রশাসনিক ভবন ও ভূমি উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা বাঁধ, সেতু–কালভার্ট তৈরিসহ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে।
২০২৪ সালে প্রকল্পের ১ম ধাপ, ২০২৯ সালে ২য় ধাপ, ২০৩৪ সালে ৩য় ধাপ, ২০৩৯ সালে ৪র্থ ধাপ, ২০৪৪ সালে ৫ম ধাপ এবং ২০৪৯ সালের মধ্যে সর্বশেষ ধাপ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।