বিএনএ, ডেস্ক: সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি খাবার খাওয়ার সময়সীমাও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। অনিয়মিত খাবারদাবার ও বেশি রাত করে রাতের খাবার খাওয়া প্রভাব ফেলে আপনার নিত্যদিনের কাজেও। কারণ, সঠিক সময়ে খাবার না খেলে শরীর খুব দ্রুত পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ে। লো প্রেশারের সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু খাবার সময়মতো খেয়ে ফেললে শরীর তরতাজা থাকে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বজায় থাকে। একটু সচেতন হয়ে সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করার রয়েছে হাজার গুণ।
দেহ চক্র নিয়ন্ত্রণ করে: সঠিক পুষ্টি, উন্নত ঘুম চক্রো সুশৃংখল খাবার সময় ইত্যদি বিষয়গুলো আমাদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং এগুলো মেনে চলা উচিত। এই অভ্যাসগুলোর মাধ্যমেই দেহ চক্র সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়। তাই, দেহ চক্র সুনির্দিষ্টভাবে পরিচালনার জন্য সঠিক সময়ে খাবার খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
বিপাক বৃদ্ধি: খাবারের সময় সীমার ওপর শরীরের বিপাক হার নির্ভর করে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিপাক হার সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই এই সময়ে পর্যাপ্ত খাবার খাওয়া না হলে শরীর বিপাকের হার বজায় রাখতে সক্ষম হবে না। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপাকের হারও হ্রাস পেতে থাকে। তাই রাত আটটার মধ্যে রাতের খাবার সম্পন্ন করা উচিত, এতে খাবার হজম হয় ঠিক মতো।
বিষাক্ত পদার্থ নিষ্কাশনে সহায়তা করে: খাবারের মাধ্যমে শরীর অনেক কিছু গ্রহণ করে।। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ নিষ্কাশন করতে যকৃত সহায়তা করে। আর যকৃতের কার্যকারিতার ওপর খাবার গ্রহণের সময় সীমা প্রভাব রাখে। রাত ১০টা বা তার পরে খাবার খাওয়া হলে তা ঘুমের সময়ের কাছাকাছি হয়ে যায়। ফলে শরীরে চাপ সৃষ্টি হয় এবং যকৃত ঠিক মতো নিষ্কাশনের কাজ করতে পারে না। তাই এই প্রক্রিয়াকে সচল রাখতে রাতে সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া জরুরি।
তিন বেলার খাবারের মধ্যে আদর্শ বিরতি: খাবার ঠিক মতো হজম করতে শরীরের তিন থেকে চার ঘন্টা সময় লাগে। তাই প্রতিবেলার খাবারের মাঝে চার ঘন্টার বেশি বিরতি রাখা উচিত নয়। এই বিরতি দীর্ঘ হলে অ্যাসিড সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে। দুই বেলার খাবারের মাঝে নাস্তা হিসেবে হাল্কা কিছু বা ফল খাওয়া ভালো। তিন বেলার খাবারের মাঝে দুবার হাল্কা নাস্তা করা উচিত।
খাবার গ্রহণের সঠিক সময়সীমা
সকালের নাস্তা: বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার দুই ঘন্টার মধ্যে নাস্তা সম্পন্ন করা উচিত। অন্যথায়, বিপাক হার হ্রাস পায়। ঘুম থেকে ওঠার পর যত তাড়াতাড়ি নাস্তা করা হয় তা শরীরের জন্য তত বেশি উপকারি।
দুপুরের খাবার: হজম ক্রিয়া সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে ভেলা ১২টা থেকে দুইটার মধ্যে। তাই, এই সময়ে দুপুরের খাবার খাওয়া হলে তা ভালোভাবে হজম হয় এবং পুষ্টি শরীরে শোষিত হয়। ফলে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
রাতের খাবার: দুপুরের খাবারের সঙ্গে চার ঘন্টা বিরতি রেখে রাত আটটার রাতের খাবার মধ্যে সম্পন্ন করা উচিত। এছাড়াও, রাতের খাবার ও ঘুমের সময়ের মধ্যে কমপক্ষে দুই ঘন্টার বিরতি থাকা আবশ্যক। এতে হজম ও ঘুম ভালো হয়।
বিএনএ/এমএফ