বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) নবনির্বাচিত মেয়র মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী শহরের বিত্তশালীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনারা শহরে বাস করবেন, বহুতল ভবন বানিয়ে ভাড়া দিবেন অথচ পৌরকর চাইতে গেলে দিবেন না এ কেমন মানসিকতা! দেশে কোন ব্যক্তি আইনের ঊর্ধ্বে নন। তাই আয় থাকলে পৌরকর দিতে হবে
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কর্পোরেশনের টাইগারপাস অফিসের কনফারেন্স রুমে চসিকের কর বিভাগের কর কর্মকর্তা ও উপ-কর কর্মকর্তাদের সভায় তিনি একথা বলেন।
মেয়র রেজাউল করিম জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কোন ধরনের পৌরকর বৃদ্ধি করেনি। পূর্বের রেইটে কর আদায় করছে। শুধুমাত্র করের আওতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থ্যাৎ কোন ভবন একতলা থেকে যদি পাঁচতলা হয় তবে সেক্ষেত্রে ফ্ল্যাট ভাড়া দিলে তাহলে ওই বর্ধিত আয়ের কারণে করের আওতা বাড়বে।
চট্টগ্রাম নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬ টি ওয়ার্ডের ১৪ শতাংশ ও বাকি ২৫টি ওয়ার্ডে ১৭ শতাংশ হারে পৌরকর আদায় হয় বলে জানান মেয়র।
জানা যায়, চসিকে ১ লাখ ৯৭ হাজার হোল্ডিয়ের বিপরীতে ৮ টি সার্কেলে মোট ১৬ জন কর কর্মকর্তা ৫৫ জন লাইসেন্স ইন্সপেক্টর কর্মরত আছে।
সভায় রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম বলেন, সর্বশেষ ২০১১ সালে কর পূণর্মূল্যায়ন করা হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের কাছ থেকে ১৬০ কোটি টাকা দাবির প্রেক্ষিতে ৩৯ কোটি, রেল কর্তৃপক্ষের কাছে ৭৫ কোটি টাকা দাবির প্রেক্ষিতে ৩৬ কোটি টাকা পওয়া গেছে। আর কর্ণফূলী মার্কেটে ৪ কোটি ৫ লাখ টাকা, এশিয়ান কটন মিলে ২৫ লাখ টাকা এখনো বকেয়া আছে। এরকম আরো সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পৌরকর এখনো বকেয়া।
প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরকারি এসব প্রতিষ্ঠানের বকেয়া পৌর কর আদায়ে নতুন মেয়রের সহযোগিতা ও পদক্ষেপের পাশাপাশি ট্রেড লাইসেন্সের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উৎসে কর, আয়কর, ভ্যাট আদায়ের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপ করে সমাধানের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেন।
প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা চৌধুরী মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
বিএনএনিউজ/মনির