বিশ্বডেস্ক: গাজায় দুটি বাড়ি ও গির্জায় বোমা হামলা চালিয়ে ১৬জনকে হত্যা করে ইসরাইলী সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, শনিবার(১৬ ডিসেম্বর)গাজা শহরের আল জায়তুন পাড়ার হলি ফ্যামিলি চার্চে ইসরায়েলি স্নাইপারের(স্থল বাহিনী) গুলিতে একজন মা ও তার মেয়ে নিহত হয়েছেন।
খবরে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকাটির চারপাশে অবরোধ আরোপ করেছে ইসরাইলী সেনাবাহিনী। ফলে খ্রিস্টানদের ওই গির্জায় আশ্রয় নেয়া ৬০০ বাস্তুচ্যুত মানুষ আটকা পড়েছে। সেখান থেকে কাউকে বের হতেও দিচ্ছে না, ঢুকতেও দিচ্ছেনা। গির্জার আশপাশে কাউকে দেখামাত্র গুলি ছুড়ছে দখলদার ইসরাইলী বাহিনী।
গাজায় খ্রিস্টান ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গোলাগুলির পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় খ্রিস্টানদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
গির্জা থেকে বের হওয়া মাত্র মা ও মেয়েকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এদিকে গাজার দুটি বাড়িতে বিমান হামলা করেছে ইসরাইল। এ হামলায় অন্তত ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।আল-জাজিরার জানিয়েছে, গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের বাইরে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের তাঁবু গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলের সেনারা।
ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধের আজকের খবর(১৬ডিসেম্বর)
গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ১১টিতে কোনভাবে প্রাথমিক চিকিতসা চলছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
তারা নতুন রোগী ভর্তি করতে পারলেও সেবা সীমিত। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মতে এই হাসপাতালগুলির মধ্যে শুধুমাত্র একটি উত্তরে রয়েছে।
দক্ষিণ গাজার দুটি বড় হাসপাতাল মৌলিক সরবরাহ এবং জ্বালানির গুরুতর সংকটের মুখোমুখি হয়েও তাদের শয্যা ক্ষমতার তিনগুণ নিয়ে কাজ করছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্তোণালয় জানায়, ইনপেশেন্ট বিভাগগুলিতে দখলের হার এখন ২০৬ শতাংশ এবং নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটগুলিতে ২৫০ শতাংশে পৌঁছেছে।
উপরন্তু, এই হাসপাতালগুলিতে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুেও আশ্রয় নিয়েছে।
বাঁচাও আল-আওদা হাসপাতাল
আল-আওদা হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আহমেদ মুহান্না সাংবাদিকদের বলেছেন, মৌলিক ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী এখনও উত্তর গাজায় পৌঁছাতে পারেনি।
আল জাজিরাকে পাঠানো একটি অডিও বার্তায়, মুহান্না বলেন যে,৬৭ দিনে আল-আওদা হাসপাতালে কোনও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছেনি, এই হাসপাতালে বর্তমানে কোন অক্সিজেন নেই।
“ইসরায়েলের ট্যাঙ্কগুলি হাসপাতালের চারপাশে রয়েছে … যখন একটি ট্যাঙ্ক প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দিয়েছে,” তিনি বলেন। “তারা বাইরে থেকে হাসপাতালের দুটি তলা লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়ে অস্ত্রোপচার ওয়ার্ডগুলি ধ্বংস করে দিয়েছে।”
“আমরা আন্তর্জাতিক সমাজ, বিশেষ করে রেড ক্রিসেন্ট এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে সমর্থন খুঁজছি,” তিনি উল্লেখ করেন।
বিএনএ,এসজিএন