বিএনএ, ঢাকা: আবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন জনপ্রিয় ইউটিউবার আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলম। বগুড়া-৪ (কাহালু এবং নন্দীগ্রাম উপজেলা) থেকে নির্বাচন করবেন তিনি।
বুধবার সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এর পরদিন হিরো আলমের ডিবি কার্যালয়ে যাওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে নানা ফিসফাস। তবে কি এবারও তিনি নির্বাচন করবেন?
তার জবাব হিরো আলমই দিয়েছেন। ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দোয়া নিতে ডিবি অফিসে এসেছি।’ আরও বলেন, ‘আমি তো প্রতিবারই নির্বাচন করলে মাইর খাই। এবারও মাইর খাই কি না, তাই অগ্রিম দোয়া নিতে এসেছি।’
হিরো আলম বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু হয়। এ পর্যন্ত যত নির্বাচন করেছি ভোট সুষ্ঠু হয়নি। প্রতিবারই নির্বাচন কমিশন আশ্বাস দিয়েছিল ভোট সুষ্ঠু করার, কিন্তু পারেনি। এবারও বলেছে ভোট সুষ্ঠু হবে। তাই আমি এবারও নির্বাচন করব। দেখা যাক কতটুকু সুষ্ঠু হয়।’
অর্থাৎ, ফিসফাসই সত্যি হলো। হিরো আলমই জানিয়ে দিলেন তাকে আবারও দেখা যাবে নির্বাচনের মাঠে। তাই এবারের নির্বাচনে কঠোর নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ডিবিপ্রধানের সঙ্গে কথা বলতেই তিনি ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বলে জানান।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচন করেন হিরো আলম। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজনের হাতে মারধরের শিকার হয়ে ভোট বর্জন করেন। প্রার্থিতা পেতেও তাকে যেতে হয়েছিল হাইকোর্ট পর্যন্ত।
এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সিংহ প্রতীক পেয়েছিলেন তিনি। তার আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ১২ হাজার ৮১ জন। ওই সময় নির্বাচনের আগে হিরো আলম বলেছিলেন, সুষ্ঠু ভোট হলে তার জয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। কিন্তু নির্বাচনের পর হিরো আলমের সিংহ মার্কা মাত্র ৬৩৮ ভোট পেয়েছিল।
এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনেও তিনি অংশ নেন। কিন্তু জিততে পারেননি। হাল না ছাড়া হিরো আলম পরে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে অংশ নেন গত ১৭ জুলাইতে অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
প্রথম নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনেও মারধরের শিকার হন হিরো আলম। রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় তাকে। এরপর তিনি ঘোষণা দেন আর নির্বাচন করবেন না। সেই হিরো আলম আবারও দিলেন ভোটের মাঠে লড়াইয়ের ঘোষণা।
বিএনএ/এমএফ