বিএনএ, যশোর: বেনাপোল আন্তর্জাতিক কাস্টমস চেকপোস্টে লাখ লাখ টাকার বিদেশ ভ্রমণ কর ফাঁকি দেওয়া চক্রের মূল হোতাকে আটক করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বেনাপোল চেকপোস্ট এলাকায় প্রশাসনের নাকের ডগায় ভারতগামী যাত্রীদের জিম্মি করে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬নভেম্বর) দুপুরে স্থানীয় প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এলাকা থেকে ট্যাক্স জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, জাল ভ্রমণ কর রশিদ ও সোনালী ব্যাংকের সীলসহ তাকে আটক করা হয়। এসময় ভারতগামী ৮জন পাসপোর্ট যাত্রীর কাছ থেকে ৮টি জাল ভ্রমণ কর রশিদ জব্দ করা হয়। বেনাপোল দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫-৬ হাজার যাত্রী ভারতে যান।
আটককৃত আসামি বেনাপোলের সাদিপুর গ্রামের আব্দুল মোমিনের ছেলে। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, জাল ভ্রমণ ট্যাক্স ফাঁকির সাথে আরও ৫/৬ জন জড়িত। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রীদের সিরিয়াল ছাড়া পুলিশ ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস’র কাজ দ্রুত করে দেওয়ার টোপ দিয়ে ভ্রমণ ট্যাক্সের টাকা হাতিয়ে নেয় যাত্রীদের কাছ থেকে। আটক শামীমের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ট্যাক্স জালিয়াতির মামলা রয়েছে। মামলায় সে জামিনে রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, স্থানীয় একটি চক্র যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করে ভ্রমণ কর জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিল। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে স্থলবন্দরের অফিসাররা পাসপোর্ট চেকিং পয়েন্টে যাত্রীর ভ্রমণ কর চেকিংয়ের সময় ভ্রমণ কর জাল সন্দেহে হলে যাচাই করলে ভুয়া প্রমাণিত হয়। সে সময় পর পর ছয়জন পাসপোর্ট যাত্রী যথাক্রমে জুলু হোসেন, তাছলিমা খাতুন, সুইটি, নাজমা, রেক্সোনা ও নাছিমা ‘বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্ট’ নামক দোকানে ভ্রমণ কর দিয়েছেন বলে জানান। তাদের সঙ্গে থাকা প্রতিটি ভ্রমণ করের কাগজ জাল বলে প্রমাণিত হয়। এরপর অফিসাররা কর জালিয়াতির হোতা শামীমকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সত্যতা পাওয়ায় তাকে আটক রেখে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়। এছাড়া কর জালিয়াতির হোতা শামীমের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা পুলিশ তা খতিয়ে দেখবে।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, পাসপোর্ট যাত্রীদের ট্যাক্স ফাঁকির দায়ে শামিম নামে একজন প্রতারককে আটক করা হয়েছে। এর আগেও তার নামে জাল ট্যাক্স কাটার অপরাধে মামলা হয়। সে মামলায় বর্তমানে জামিনে আছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে যশোর জেল হাজতে পাঠানো হবে।
বিএনএ/ সোহাগ, এমএফ