27 C
আবহাওয়া
৭:৫৮ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মিশরে প্রবেশ করা ফিলিস্তিনি রোগীদের চিকিৎসা দেবে তুরস্ক

মিশরে প্রবেশ করা ফিলিস্তিনি রোগীদের চিকিৎসা দেবে তুরস্ক

তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী

তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেটিন কোকা বলেছেন, যে সব ফিলিস্তিনি রোগী যারা সীমান্ত পেরিয়ে মিশরে এসেছেন তাদের উন্নত চিকিৎসা দিতে তুরস্কে স্থানান্তর করা হবে।

বৃহস্পতিবার(১৬ নভেম্বর) ডেইলি সাবাহ্ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোকা বলেন, যে ২৬ গাজাবাসী রোগী এবং তাদের ১৩ জন পরিচারক যারা রাফাহ বর্ডার গেট দিয়ে গেছে

মিশরে চিকিৎসা নিতে গেছে, তাদের উন্নত চিকিৎসা দিতে তুরস্কে স্থানান্তর করা হবে। আর এটি হবে ইসরায়েলের অবিরাম হামলায় আহতদের তৃতীয় কোন দেশে চিকিৎসা দেয়ার প্রথম ঘটনা।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকায় তুরস্ক এবং মিশর আহত ফিলিস্তিনি এবং ক্যান্সার রোগীদের গাজার বাইরে স্থানান্তর করতে যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে ঐক্যমত পোষন করেছে দুদেশ।

তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেটিন কোকা এবং মিশরীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী খালেদ আবদেল গাফফার গাজার জন্য চিকিৎসা সহায়তা সরবরাহ এবং  তুরস্কে ক্যান্সার রোগীদের স্থানান্তর নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার কায়রোতে বৈঠক করেছেন।

পরে দুজন গাজা স্ট্রিপ থেকে মিশরে যাওয়া রোগীদের দেখতে কায়রোর নাসর রিসার্চ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে যান।

মন্ত্রীরা সমস্ত রোগীর সাথে সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলেন এবং চিকিৎসাধীন শিশুদের উপহার দেন।

তাদের হাসপাতাল পরিদর্শনের পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কোকা ঘোষণা করেন যে গাজার আহত শিশু এবং ক্যান্সার রোগীদের প্রথমে মিশরে নিয়ে যাওয়া হবে, তারপর অ্যাম্বুলেন্স জেটের মাধ্যমে  তুরস্কে স্থানান্তরিত করা হবে।

“আমরা তুর্কি ও মিশরীয় মেডিকেল টিমের সহযোগিতায় এই রোগীদের চিকিত্সা করার পরিকল্পনা করছি,” তিনি সাংবাদিকদের বলেন।

গত মাসে, কোকা রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ছিটমহলে রোগীদের স্থানান্তরের জন্য তার ইসরায়েলি এবং মিশরীয় সমকক্ষদের সাথে অসংখ্য ভিডিও কনফারেন্স এবং ফোন কল করেন।

 

ইতিমধ্যেই ১৬ বছরের ইসরায়েলি অবরোধ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত গাজা উপত্যাকা একমাস ধরে পানি, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানী সরবরাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে, ফলে সেখানকার অনেক হাসপাতাল বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

 

ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় অন্তত ১১হাজার ৩২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৭হাজার ৮০০ নারী ও শিশু এবং ২হাজার২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে ইসরায়েলি মৃতের সংখ্যা প্রায় ১২০০।

গত ৭ অক্টোবর থেকে, আঙ্কারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে একটি সোচ্চার সমর্থক ছিল কারণ এরদোগান “দূর থেকে গণহত্যা দেখার” জন্য পশ্চিমা দেশগুলির নিন্দা করেছিলেন, তাদের অবরুদ্ধ শহরে আক্রমণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন৷

বিএনএ,এসজিএন

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ