বিএনএ, ময়মনসিংহ: কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর দ্বারপ্রান্তে। ইতোমধ্যে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে উন্মাদনা। বাংলাদেশ ফুটবল দল অংশ নিতে না পারলেও বরাবরের মতই একটি বাড়তি উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে ফুটবল প্রেমীদের মাঝে। দেশজুড়েই নিজের পছন্দের দলের পতাকা উড়ানোর প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে। পিছিয়ে নেই ময়মনসিংহের সমর্থকরাও। তাই, নিজের পছন্দের দলের পতাকা টাঙানো শুরু করেছে অনেক আগে থেকেই। এরই মাঝে ময়মনসিংহের নান্দাইলে ৩ হাজার ফুট লম্বা পতাকা টাঙিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা।
জানা যায়, রোববার (১৩ নভেম্বর) থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত তিন দিনে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের নান্দাইল চৌরাস্তা বাজার থেকে রেলওয়ে স্টেশনের এক কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে বিশাল আকৃতির এক পতাকা টাঙানো হয়েছে। উপজেলা অটোরিকশা ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে আল আমিন, আশিক ভূঁইয়া, এমদাদুল হক বাচন, হাফিজুল ইসলাম হাফিজ ও ফাহিম ভূঁইয়াসহ পতাকা তৈরি করেছেন। শুধু পতাকা টাঙানোই নয়, ওই সমিতির উদ্যোগে ফুটবল প্রেমীদের খেলা দেখানোর জন্য প্রজেক্টর, পর্দা ও আকাশ ডিটিএইচ কিনেছেন। যেন নান্দাইলবাসী বিশ্বরকাপের সবকটি ফুটবল ম্যাচ দেখতে পারেন।
উদ্যোক্তারা জানান, নান্দাইল রোড বাজারের টেইলার্স আব্দুল মতিনের টেইলার্সের দোকানে ৬ দিনে ১৫শ গজ কাপড় দিয়ে তিন হাজার ফুট লম্বা পতাকা তৈরি করা হয়। সব মিলিয়ে পতাকা তৈরি করতে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
পতাকা দেখতে আসা মোশারফ হোসেন রিয়াদ নামের মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, আমার জানামতে এত বড় পতাকা নান্দাইলে আর কেউ এখনো তৈরি করেনি। বিশাল পতাকা টাঙানো হয়েছে শুনেই দেখতে আসলাম। বিশাল বড় পতাকা দেখে ভাল লাগছে।
পতাকা সেলাই করা কারিগর আব্দুল মতিন বলেন, আমি এবং আমার স্ত্রী মিলে ৬ দিন লেগেছে পুরো পতাকা সেলাই করতে। আমার জীবনে এমন বড় পতাকা কখনও সেলাই করা হয়নি৷ আর্জেন্টিনা দলকে ভালোবাসি বিধায় আগ্রহ নিয়ে পতাকাটা সেলাই করেছি। পারিশ্রমিক যতই দেয় তাই নিব, এটার মধ্যে কোন চাহিদা নাই।
উদ্যোক্তাদের মধ্যে আশিক ভূঁইয়া বলেন, ছোটবেলা থেকেই আর্জেন্টিনা দলের সমর্থন করি৷ ফেসবুকে, টিভিতে অনেক বড় বড় পতাকা বানানো দেখেছি। গত বিশ্বকাপ থেকে আমাদের পরিকল্পনা ছিল আমরাও বিশাল একটি পতাকা তৈরি করব৷ আর্জেন্টিনা দলের প্রতি আমাদের ভালোবাসা থেকেই পতাকা তৈরি করা। তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অংশ নিলে বাংলাদেশ কে সমর্থন করতাম। এবার আমরা আশাবাদী আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ নিবে৷
বিএনএ/ হামিমুর,এমএফ