বিএনএ,ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ও দলবাজ বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে সুপ্রিমকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি শুরু করেন। তারা হাইকোর্ট বিভাগের ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারকদের দুপুর ২টার মধ্যে পদত্যাগ করার আল্টিমেটাম দেন। এ অবস্থায় হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
পরে দুপুরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের দপ্তরে একে একে প্রবেশ করেন অভিযোগ ওঠা হাইকোর্টের বিচারপতিরা। ছয়জন বিচারপতি প্রধান বিচারপতির চায়ের দাওয়াতে এসেছেন।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক বিচারপতি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এ ব্যাপারে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভুঁইয়া বলেছেন, ‘আমার কাছে কোন তথ্য নেই। আমাকে ক্ষমা করবেন।
ছয়জন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি শাহেদ মো. নুরউদ্দিন, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম। তাদের ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এছাড়া দাওয়াতপ্রাপ্ত বিচারপতি খুরশিদ আলম সরকারসহ ৬ জন এখনও প্রধান বিচারপতির চায়ের দাওয়াতে যাননি। তবে তারা না গেলেও তাদেরকেও ছুটিতে পাঠানো হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগ পাওয়া দলবাজ বিচারপতি হিসেবে চিহ্নিতদের পদত্যাগ দাবি করে আসছে বিভিন্ন সংগঠন। এ ছাড়া সাধারণ আইনজীবীরাও দলবাজ বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবি করে আসছে। এসব আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে আজ সকালে হাইকোর্ট ঘেরাও করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাজার হাজার শিক্ষার্থী। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। তাদের স্লোগান, অবস্থান কর্মসূচিতে উত্তাল পুরো হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায়।
বিএনএনিউজ/ আরএস/হাসনা