বিএনএ, চট্টগ্রাম :পেশায় নাইট গার্ড আবদুল মালেক । এর আড়ালে গড়ে তুলেছে ইয়াবার বিস্তর সাম্রাজ্য। অবশেষে র্যাবের হাতে ধরা পড়েছে । চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় গভীর সমুদ্রে ও সৈকতে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক এক লাখ পিস ইয়াবাসহ ৫ ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত ১ টি স্পিড বোট ও ১ টি লাইফ বোট জব্দ করা হয়েছে। রোববার (১৫ অক্টোবর) এ অভিযান চালানো হয়।
আটককৃতরা হচ্ছে মোঃ আব্দুল মালেক (৫২), মোঃ নিজাম উদ্দিন (৩০), মোঃ হাসান মিয়া (২১), মোঃ ওমর ফারুক (৪০), মোঃ ইমরান হোসেন (২০)
ধৃত আব্দুল মালেক স্পিডবোট ও পতেংগা সমুদ্র সৈকত এর নাইট গার্ড। বাড়ি আনোয়ারার গহিরায় এবং তিনি এই এলাকার ইয়াবা সম্রাট। আট বছরের অধিক সময় ধরে নাইটগার্ডের কাজ করছে এবং দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ মাদকের কাজের সাথে জড়িত।তার সঠিক সংকেতের উপর ভিত্তি করেই স্পীড বোর্ড ইয়াবা নিয়ে সমুদ্র সৈকতে আসে এবং সে মাদকদ্রব্যের চালান গ্রহণ করে তা বিক্রয় করে।
র্যাব-৭ জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে,, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ইয়াবার একটি বড় চালান নিয়ে স্পিডবোট যোগে সাগর পথে পতেঙ্গা সী-বীচের দিকে আসছে। উক্ত চালানটি পতেঙ্গা সী-বীচ মেইন পয়েন্ট ঘাটের কিছুটা অদূরে সাগরে ১টি লাইফ বোটে অবস্থানকৃত বোটের লোকজনদের নিকট মাদকদ্রব্য চালানের কিছু অংশ বুঝিয়ে দিবে। পরবর্তীতে স্পিডবোট ও লাইফ বোটটি পতেঙ্গা সী-বীচ মেইন পয়েন্ট ঘাট হয়ে অন্যত্র যাবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত রোববার( ১৫ অক্টোবর) র্যাব-৭ পতেঙ্গা সী-বীচ মেইন পয়েন্ট ঘাটে অভিযানে যায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে নোঙ্গর করা অবস্থা হতে ১টি লাইফ বোট ও ১টি স্পিডবোট যোগে কয়েকজন লোক পালানোর চেষ্টা করে।এ সময় স্পীড বোটের ভেতরে থাকা ২জন ও লাইফ বোটের ভিতরে থাকা ৩জন সহ মোট ৫জনকে আটক করে র্যাব। পরবর্তীতে দুটি ট্র্যাভেল ব্যাগের ভিতর হতে মোট ১ লক্ষ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য তিন কোটি টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবত টেকনাফের সীমান্ত এলাকা মায়ানমার হতে সাগর পথে মাদক জাতীয় দ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করে আসছে।
নিজাম উদ্দিন মূলত স্পীড বোর্ডের ড্রাইভার। সে দীর্ঘদিন যাবত স্পিড বোর্ডের ড্রাইভার হিসেবে কাজ করছিল। ইদানিং গার্মেন্টসে বা অন্যত্র চাকরি নেয় এবং ছুটির দিনে অবৈধ মাদক আনার ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করে।
পায়ে জন্মগত ত্রুটিযু্ক্ত লোকটি মালেকের ছেলে মোঃ হাসান মিয়া। সে বেশিরভাগ সময় টেকনাফ এ থাকে। ইয়াবার চালান আনার জন্য টেকনাফ থেকে সে সবকিছু গুছিয়ে দেয়। মূলত এই কাজে প্রতিবন্ধী বিধায় তাকে কেউ সন্দেহ করে না।
কালো শার্ট পরিহিত ছেলেটির নাম মোঃ ইমরান হোসেন। চার বছর ধরে স্পিডবোর্ডের হেলপার হিসেবে চাকরি করে। মাঝে মাঝে মাদকের চালান আনার কাজে সে সহযোগিতা করে।
মোঃ ওমর ফারুক @প্যাকেজ ফারুক স্পিডবোট এর মালিক, তার অনেকগুলো বোট থাকলেও সে একটি মাত্র বোট দিয়ে শুধুমাত্র মাদক চোরাচালানের কাজে ব্যবহার করে।
বিএনএ/ ওজি