বিএনএ ঢাকা: রাজধানী থেকে প্রায় পাঁচ কেজি আইসসহ হোছেন ওরফে খোকন ও মোহাম্মদ রফিক নামে দুইজনকে আটক করেছে র্যাব। শনিবার (১৬ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র্যাবের একটি দল। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে মিয়ানমারের মোবাইলফোন অপারেটরের সিমসহ অস্ত্র এবং গুলিও উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন সংস্থার আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, হোছেন বার্মিজ কাপড় ও আচার ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা নিয়ে আসছিলেন। তবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ‘অভিজাত শ্রেণির’ কাছে আইস বা ক্রিস্টাল মেথ জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় তিনি কয়েক মাস ধরে আইস নিয়ে আসছেন। মিয়ানমারে এক গ্রাম আইসের দাম দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। আর বাংলাদেশে এর দাম ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রতি গ্রামে ১৩ থেকে ২৩ হাজার টাকা বেশি লাভ পেতে মিয়ানমার থেকে তাই দেশে আইস নিয়ে আসেন হোছেন। এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে এত বড় আইসের চালান ধরা পড়েনি। এযাবৎকালের ধরা পড়া সবচেয়ে বড় চালান এটি।
আটক দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, হোছেন চক্রের অন্যতম হোতা। আর রফিক তার অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন। তারা টেকনাফকেন্দ্রিক মাদক সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য। চক্রটি কয়েক বছর ধরে অবৈধ মাদক ইয়াবার কারবার করে আসছে। চক্রে ২০ থেকে ২৫ জন যুক্ত। সিন্ডিকেটের সদস্যরা নৌপথ ব্যবহার করে মাদকের চালান দেশে নিয়ে আসছে। ঢাকার উত্তরা, বনানী, গুলশান, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় তাদের সিন্ডিকেট সদস্য রয়েছে। তাদের বিষয়ে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। হোছেনের সঙ্গে মিয়ানমারের মাদক কারবারিদের সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি বার্মিজ আচার ও কাপড় আনার নাম করে অবৈধভাবে নিয়মিত মিয়ানমারে যাতায়াত করতেন। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কোনো আইসের চালান ধরা পড়লে সেই অর্থ আর তাকে পরিশোধ করতে হয় না। তাই এ চক্র ‘ঝুঁকিমুক্তভাবে’ আইসের চালান নিয়ে আসছিল বাংলাদেশে। হুন্ডির মাধ্যমে মাদকের টাকা লেনদেন করা হয়। হোছেনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
বিএনএনিউজ/আরকেসি