বিএনএ, ঢাকা : শেখ হাসিনাকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকার দুই অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন ও পরীমণির ভারতীয় ভিসা স্থগিত করা হয়েছে।
এই মুহুর্তে ডটকম নামক কলকাতা হতে প্রকাশিত অনলাইন পত্রিকাটি রবিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, অভিনেত্রী বাঁধন ও পরীমণি পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ জড়িত। তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা ও ভারতবিরোধী শ্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সক্রিয় ছিলেন।
তাদের বাড়িতে করাচি থেকে আসা গুপ্তচরদের আশ্রয়ও দিয়েছিলেন। এসব কার্যকলাপ নজরে আসার পরই ভারতীয় গোয়েন্দারা তাদের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই মাসে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইএসআইয়ের ‘অপারেশন সাইক্লোন’ মিশনের সঙ্গে বাঁধন ও পরীমণির সংশ্লিষ্টতা থাকার তথ্যও উঠে এসেছে। এ কারণেই তাদের ভারতীয় ভিসা দেয়া হচ্ছে না। যদিও এ বিষয়ে ভারতীয় দূতাবাস থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি, তবে দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, আপাতত এই দুই অভিনেত্রীকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতে তারা ভিসা পাবেন কি না, তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
আজমেরী হক বাঁধনের ক্ষেত্রে, তার আইএসআইয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সংযোগের বিষয়টি ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজরে ছিল। এর আগেও বাঁধনকে বেঙ্গালুরু চলচ্চিত্র উৎসবে জুরি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাকে ভিসা দেয়া হয়নি। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, শেখ হাসিনা যতদিন ভারতে থাকবেন, ততদিন বাঁধনকে ভিসা দেয়া হবে না।
অন্যদিকে, পরীমণি ওপার বাংলার পরিচালক দেবরাজ সিনহার “ফেলুবক্সী” ছবির নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এবং ডাবিং শেষ করার জন্য কলকাতায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে ভিসার জন্য আবেদন করলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। পরীমণি নিজেও গণমাধ্যমে ভিসা না পাবার কথা স্বীকার করেছেন।
এদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ৪০ দিন উপলক্ষ্যে ১৪ই সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুরে ১০ নম্বরে আজমল হাসপাতালের গলিতে অভিনেত্রী বাঁধনের আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে ‘স্বৈরাচারের চল্লিশা। সেখানে গরু জবাই ও বিরিয়ানি রান্না এবং দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে বিতরণ করা হয়েছে বিরিয়ানি। কথিত এই চল্লিশা অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী বাধন প্রধান অতিথি ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মো. নাহী, মাসুদুর রহমান, ফারদিন হাসানসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাধারণ শিক্ষার্থী, শ্রমিক, দিনমজুর ও এলাকাবাসী।
প্রসঙ্গত, চল্লিশা বাংলা শব্দ। এর আরবি আল-আরবাʿঈন, ফার্সিতে বলা হয় চেহলম। এটি শিয়া মুসলমানদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। যা মৃত ব্যক্তির স্বগীয় মঙ্গল কামনা করে পালন করা হয়। দেশে এই প্রথম নিন্দা অর্থে চল্লিশা পালন করেছে অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। যা নিয়ে দেশ বিদেশে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
বিএনএনিউজ/সৈয়দ সাকিব/এইচ.এম।