বিএনএ, বিশ্বডেস্ক: কানাডা ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এরই মধ্যে কানাডা ভারতে অক্টোবরে বাণিজ্য মিশন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার দুই দেশের কর্মকর্তারা নিজ নিজ সরকারের পক্ষে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের বাইরে কানাডায় সবচেয়ে বেশি শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে। সম্প্রতি কানাডায় ভারতীয় দূতাবাসের সামনে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিদ্রোহ করছে। এসব কারণে কানাডার প্রতি বিরক্ত ভারত সরকার।
গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদি বিশ্বের অনেক দেশের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করলেও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে করেননি। শুধু পাঁচ দিন আগে একটি অনানুষ্ঠানিক সংক্ষিপ্ত বৈঠকের অনুমতি দিয়েছিলেন।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কানাডা বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্রচার করছে। তারা ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে উসকে দিচ্ছে। শিখ বিদ্রোহীরা কূটনৈতিক প্রাঙ্গনে ক্ষতি করছে। এমনকি তারা কানাডায় বসবাসরত ভারতীয়দেরও হুমকি দিচ্ছে।
২০১০ সাল থেকেই ভারত ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। গত বছর আনুষ্ঠানিকভাবে এই আলোচনা আবার শুরু হয়। মাত্র তিন মাস আগেই দুদেশই জানিয়েছিল, চলতি বছরের মধ্যেই মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে একটি চুক্তি করতে চায়।
কানাডায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় কুমার ভার্মা দেশটির সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, অটোয়া আপাতত আলোচনায় বিরতি চেয়েছে। যদিও কেন এই সিদ্ধান্ত, সে বিষয়ে তিনি কিছু স্পষ্ট করেননি।
সম্প্রতি কানাডায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে খালিস্তানিরা। নিশানা করা হয়েছে ভারতীয় দূতাবাসকে। নানা প্রান্তে ‘কিল ইন্ডিয়া’ পোস্টারও লাগানো হয়। এই বিষয়ে ট্রুডো সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত। তবে বিশেষ ফল মেলেনি।
বিএনএ/এমএফ