বিএনএ ডেস্ক: মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচ রোহিঙ্গা।
নিহতের নাম ইকবাল হোসেন বারি (১৮)। সে শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা মুনির আহমদের ছেলে। আহত ব্যক্তিরা হলেন সাহদিয়া (৪), মো. আনাস (১৫), নবী হোসেন (২১), জাহিদ আলম (৩০) ও আহত অপর একজনের নাম জানা যায়নি।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়ায় বাংলাদেশ ভূখণ্ডের শূন্যরেখায় এ ঘটনা ঘটে।
বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) অশোক কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘কোনাপাড়ার তুমব্রু সীমান্তে নো ম্যানস ল্যান্ডে থাকা রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে মিয়ানমারের মর্টার শেল পড়ে বিস্ফোরিত হয়। এতে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত ও আরও পাঁচ রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন। হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান রোহিঙ্গা যুবক।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজি জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত পরিস্থিতির কারণে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র কক্সবাজার উখিয়া কুতুপালং কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। শুক্রবার রাতের ঘটনার পর মিয়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতি বিবেচনায় ঘুমধুম সীমান্তের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারের ৫টি মর্টার শেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এসে পড়ে। এর মধ্যে ৩টি বিস্ফোরিত হয়। তারা জানান, হতাহতদের রাত সাড়ে ৯টার দিকে উখিয়ার কুতুপালংয়ে এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আবার মুহুর্মুহু গোলাগুলি শব্দ শোনা যায়। প্রায় তিন দিন গোলাগুলি বন্ধ থাকার পর আবার গোলাগুলি শুরু হয়েছে। মর্টার শেলের গোলার বিকট শব্দে কাঁপছে এপারের ভূখণ্ড। এতে এপারের ঘুমধুম ইউনিয়নের ২০ গ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাত ১০টা পর্যন্ত মুহুর্মুহু গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
বিএনএ/এ আর