বিএনএ ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। পরিবারের সবাইকে ঘাতকরা মেরে ফেললেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধু কন্যারা। এরপর থেকে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন শেখ হাসিনা। তার পাশে ছায়ার মতো ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। প্রধানমন্ত্রীও বড় বোন হয়ে ছোট বোনকে সবসময় স্নেহের ছায়ায় রেখেছেন।
ক’দিন আগে শেখ রেহানার জন্মদিন গেল। তখন তিনি লন্ডনে ছিলেন। বিশেষ এই দিনে দুই বোন কাছাকাছি না থাকতে পারলেও প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন ও নিউইয়র্ক সফরকালে বিমানবন্দরে দেখা হয়ে গেল। এ সময় ছোট বোনকে বুকে জড়িয়ে ধরেন বড় বোন শেখ হাসিনা। দুজনের আবেগমাখা ছবি সফরে থাকা অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন। ছবিতে দুজনকে বেশ প্রাণবন্ত দেখাচ্ছিল।
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে লন্ডন ও নিউইয়র্কের উদ্দেশে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য সময় বিকেল ৫টায় লন্ডনে পৌঁছেছেন। এসময় লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। টানা ১৯ দিনের সফর শেষে আগামী ৩ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা, জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথ বিষয়কমন্ত্রী লর্ড আহমদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় এবং লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্টারমার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ১৮ সেপ্টেম্বর বাকিংহাম প্যালেসে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সম্মানে রাজার এক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে অংশ নেবেন। একই দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে নিউইয়র্কের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
ওই দিন জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। পাশাপাশি তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। ইউএনএইচসিআরের ফিলিপো গ্রান্ডি এবং স্লোলোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি। একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সংবর্ধনায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
২১ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, বতসোয়ানা ও স্লোভাক প্রজাতন্ত্র এবং জাতিসংঘ আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের টেকসই আবাসন শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ