বিশ্ব ডেস্ক(১৬ জুলাই) : ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন বলছে, এ বছর মধ্য ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপ যাবার পথে ১হাজার৮৯৫ জন অভিবাসীর মৃত্যু বা নিখোঁজ হয়েছে।
গত সপ্তাহে তিউনিসিয়ার উপকূলে এবং আলজেরিয়ার সীমান্তে অন্তত ১৫ অভিবাসীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে, কর্তৃপক্ষ শুক্রবার জানিয়েছে। সাব-সাহারান আফ্রিকানরা তিউনিসিয়ায় ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মুখোমুখি হওয়ায় এবং আরও বেশি সংখ্যক লোক ইউরোপে যাওয়ার পথে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার বা ট্রানজিট করার চেষ্টা করার সময় এই মৃত্যু ঘটে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিউনিসিয়ার উপকূলরক্ষীরা গত বুধবার রাতে ১৩ অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে এবং বন্দর শহর স্ফ্যাক্স থেকে ২৫ জনকে উদ্ধার করেছে।
ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ নৌকা ভ্রমণে ইউরোপে পৌঁছাতে চাওয়া লোকদের জন্য তিউনিসিয়ার প্রধান প্রস্থান পয়েন্ট হয়েছে স্ফ্যাক্স সেখান থেকে ইতালীয় দ্বীপ ল্যাম্পেডুসার খুব কাছে বলা যায়।
স্ফ্যাক্স শহরে স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে। একজন তিউনিসিয়ান ব্যক্তির মৃত্যুর পর অভিবাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে কয়েক শত অভিবাসীদের লিবিয়া এবং আলজেরিয়ার সীমান্তের মরুভূমিতে নির্বাসিত করা হয়েছে।
আঞ্চলিক আদালতের মুখপাত্র জানিয়েছেন, হাজুয়া অঞ্চলে তিউনিসিয়ান-আলজেরিয়ান সীমান্তে দুই অভিবাসীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন বলছে, এই বছর উত্তর আফ্রিকা থেকে মধ্য ভূমধ্যসাগরে যাওয়ার পথে ১৮৯৫ জন মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে, যা ২০২২ সালে ২৪০৬ জন ছিল।
তিউনিসিয়ার খারাপ অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান ঋণ এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্ব সহ নানা কারণে দেশটির বাসিন্দারা দেশত্যাগ করছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েন, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে রবিবার তিউনিসে ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদী তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রপতি কাইস সাইদের সাথে দ্বিতীয় বৈঠকে সহায়তা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত মাসে তিউনিসিয়াকে এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অফার করেছে তার ধ্বসে পড়া অর্থনীতিতে সহায়তা এবং অভিবাসী নৌকাগুলিকে ইউরোপে পারাপার করা বন্ধ এবং সীমান্ত পরিষেবাগুলিকে আরও শক্তিশালী করতে।
বিএনএনিউজ২৪,জিএন