বিএনএ ডেস্ক: কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ঝড়-বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া আর দুই পক্ষের হট্টগোলে শেষ ৪ কেন্দ্রের ফল পেতে দেরি হয়েছে। এমন দাবি করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেন তিনি। বলেন, প্রিসাইডিং অফিসারদের ফল তৈরিতে বিলম্ব হয়েছে। ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রাখার পেছনে অন্য কোন কারণ ছিলো না। পরিস্থিতি প্রতিকূলে ছিল বিধায় সময় লেগেছে।
তখন টেলিফোনে কার সাথে কথা হচ্ছিল? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, ‘তখনকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সিইসি, ডিসি ও এসপির সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। অন্য কারো ফোন আসেনি।
বুধবার কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে দিনভর সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটের পর রাতে ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর মধ্যেই মেয়র পদে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। বেসরকারি ফলাফলে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর চাইতে ৩৪৩ ভোট বেশি পান নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত।
বেসরকারি ফলাফলে ১০৫ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। বিদায়ী মেয়র সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। তৃতীয় স্থানে থাকা নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট। ফল ঘোষণার পরপরই সাক্কু তা প্রত্যাখ্যান করেন।
১০৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০১টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার পর শেষ ৪টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণায় ৪৫ মিনিট দেরি হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
বিএনএ/ এ আর