বিএনএ, ঢাকা: সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বাংলাদেশ নিযুক্ত ভূটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনতসি এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। ১৬ জুন সকালে রাজধানী বনানীতে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কার্যালেয় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ভূটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনতসিকে স্বাগত জানান সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক আবেদ আলী । উত্তরীয় পরিয়ে দেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সহ সভাপাতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মজুমদার ।
পরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দেশের বানিজ্য, সাংস্কৃতি, শিক্ষা ও পর্যটন শিল্পের প্রসারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনতসি বলেন, বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ভূটান। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তখন থেকে দুদেশের জনগণ এক আত্মিক সম্পর্কের বাঁধনে বাঁধা পড়ে। দুদেশের নেতা ও মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয় বিশ্বাস ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের।
এদিকে ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরে ভুটান জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করায় বিশ্বসমাজে তার একটি অবস্থান সৃষ্টি হয়, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে প্রভাব ফেলতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মিজানুর রহমান মজুমদার বলেন, ভুটান শুধু আমাদের নিকট প্রতিবেশী দেশই নয়, দুর্দিনেরও বন্ধু।
ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক শুরু হয় এক ঐতিহাসিক সময়ে, যখন বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত। বন্ধুত্বের এক চিরন্তন আলোকবর্তিকা সেদিন বাংলাদেশের আকাশজুড়ে অনুপ্রেরণার লাখো ধারায় প্লাবিত করেছিল সমগ্র বাঙালি জাতিকে দেশ শত্রুমুক্ত করার দৃঢ় সংকল্পে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে ভূটানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের সাথে ভূটানের অনেক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সু সম্পর্ক রয়েছে’।
ভূটান বাংলাদেশ থেকে অনেক পন্য আমদানী করে আবার কিছু পণ্য রপ্তানীও করে। ভূটানের অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বুয়েট সহ বিভিন্ন বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ও মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা করতে আসে। বিশেষ করে ভূটানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ময়মিনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে পড়ালেখা করেছেন এবং ভূটানের জাতীয় বিমান সংস্থা ড্রুকেয়ার- রয়েল ভূটান এয়ারলাইন্স এর বর্তমান এমডি বুয়েট থেকে পড়ালেখা করেছেন এবং দুজন বর্তমান মন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে পড়া লেখা করেছেন।
ভূটান একটি প্রাকৃতিক নৈসর্গিগ দেশ। পরিবেশ দূষণ মোকাবেলায় ও পর্যটন শিল্প বিকাশে ভূটান থেকে কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষক আনা যেতে পারে। বাংলদেশে বিকাশমান পর্যটন শিল্পে উন্নতির জন্য ইনস্টিটিউট তৈরি হলে ভূটানের প্রশিক্ষক এন বাংলাদেশের পর্যটন কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে।
বিএনএ/এ আর