বিএনএ, পাবনা: ভেসে আসেননি, দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে রাজপথ থেকে বঙ্গভবনে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, আমি ভেসে আসিনি, একেবারে রাজপথ থেকেই বঙ্গভবনে গিয়েছি। পাবনার রাজপথ থেকে বঙ্গভবনে গিয়েছি। আমি বঙ্গবন্ধুর ছোঁয়া পেয়েছি। কারাগারে যেতে হয়েছে। চরম অত্যাচারিত হয়েছি। ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে। রাজপথের সক্রিয় হয়ে আমি বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাকশালের পাবনার জয়েন্ট সেক্রেটারি হয়েছিলাম।
মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকালে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে মাঠে অনুষ্ঠিত নাগরিক কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধ্বংস করেছিল। কিন্তু পরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনা আবার ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি সংবিধান পেয়েছি। কিন্তু এটাকে বহুবার বিভিন্নভাবে ক্ষতবিক্ষত ও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বাংলার জনগন বহু কষ্টে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে বেছে নিয়ে গণতন্ত্রকে আবার পুনঃস্থাপন করেছে। এই ধারাকে ধরে রাখতে হবে। সামনে জাতীয় নির্বাচন বাঙালি জাতির অস্তিত্বের এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। তাই পাবনাবাসীসহ দেশবাসীকে অতীত এবং বর্তমান সময়ের হিসেব-নিকেশ করে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারকে রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। অনেক মন্ত্রী আমার কাছে এসে বিশ্ব ব্যাংকের দাবি মেনে নিতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি রাজি হইনি। এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। কিন্তু আমি শক্ত হাতে মোকাবিলা করেছি।
সাহাবুদ্দিন বলেন, আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা তৈরি দেশের জন্য কখনও মঙ্গলজনক হয় না। রাজনৈতিক হিংসা ভুলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে হবে।
এর আগে বিকেল ৩টা ২৪ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে তাকে বরণ করেন পাবনাবাসী। বিকাল ৩টা ২৭ মিনিটে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএ/এমএফ