বিএনএ,ঢাকা : রাজধানীর কদমতলী শ্যামপুর গ্লাস ফ্যাক্টরির রাবেয়া আক্তার (১৮) নামের এক গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামীসহ চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আটকরা হলেন- স্বামী খাইরুল গাজী, শ্বশুর হানিফ গাজী, শাশুড়ি হাসনারা বেগম ও ননদের জামাই আব্দুল কাইয়ুম।
নিহতের বাবা শহীদ সরদর বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে এক বছর আগে সম্পর্ক করে খাইরুলের বিয়ে হয়। তারা আমাদের সঙ্গেই থাকত। কিন্তু গত রোজার ঈদে সামান্য বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হলে তারা আলাদা বাসায় থাকতে শুরু করে। আজ সকাল ছয়টার দিকে আমি এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে খবর পাই আমার মেয়ে অসুস্থ। পরে তাদের বাসায় গিয়ে দেখি আমার মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলে কিছু হয়নি। একথা শুনে আমি চলে আসি। পরে সকাল দশটার দিকে অন্য আরেকজনের মাধ্যমে জানতে পারি আমার মেয়ে মারা গেছে। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাদেরকে জানায়নি যে আমার মেয়ে মারা গেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের গলার নিচে দাগ রয়েছে। আমরা ধারণা করছি তারা আমার মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করেছে। পরে কদমতলী থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল থেকে আমার মেয়ের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদের জামাইকে আটক করে নিয়ে যায়। তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার হিজলা থানা এলাকায়। এ সময় মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি। এদিকে নিহত রাবেয়ার স্বামী খাইরুল বলেন, সকালে তার বুকে ব্যথা উঠলে আমরা ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা জানান, খবর পেয়ে আমরা ঢাকা মেডিকেলে আসি। পরে নিহত রাবেয়ার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদের জামাইকে আটক করেছি। নিহত রাবেয়ার বাবা-মায়ের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে গলাটিপে হত্যা করে থাকতে পারে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা হানিফ গাজী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিএনএনিউজ২৪.কম/আজিজুল/এনএএম