বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে সোনালি আঁশ তথা পাট আমাদের এখন সোনালি স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
রবিবার(১৬ এপ্রিল ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জুট প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল’-জেপিবিপিসি গঠন সংক্রান্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন করে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের ‘বর্ষপণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এই সম্ভাবনাময় খাতের উন্নয়নকে আরো বেগবান করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ‘জুট প্রোডাক্টস বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল’ গঠন করেছে।
পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদনে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে পাটের উৎপাদন ও পাটপণ্য ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকে পাট ও পাটপণ্য উৎপাদনে এবং রপ্তানি করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করছে। প্রধানমন্ত্রী দূতাবাসগুলোকে পাটজাত পণ্য প্রদর্শন এবং বাজার সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন। যার ফলে পাট নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে।
দেশে পাট শিল্পের পুনরুজ্জীবন এবং আধুনিকায়নের ধারা বেগবান করার পাশাপাশি পাটজাত বহুমুখী পণ্যকে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধিতে জুট প্রোডাক্টস বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে জানিয়ে তিনি বলেন রপ্তানি সম্ভাবনাময় খাতসমূহের উন্নয়নে বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল ইতোমধ্যে সাতটি খাতভিত্তিক কাউন্সিল গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
মন্ত্রী বলেন, পাট খাতের বৈশ্বিক রপ্তানি আয়ের ৭২ শতাংশ এখন বাংলাদেশের দখলে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে কেবল ব্যাগের চাহিদা দশ কোটি থেকে ৭০ কোটিতে উন্নীত হয়েছে এবং অন্যান্য পাটপণ্যের চাহিদা রয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাতে রপ্তানিতে প্রায় ১১৩ কোটি মার্কিন ডলার আয় হয়েছে বলেও জানান।
পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পাটের ব্যাগ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে থাকে। যদিও পলিথিনের তুলনায় পাটের ব্যাগের দাম একটু বেশি তবে পরিবেশবান্ধব।
মন্ত্রণালয় থেকে চিনির দাম কমানোর ঘোষণা দেয়ার পরেও বাজারে দাম বেশি, সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, রমজান শেষের দিকে, সামনে ঈদ। এতে চিনির চাহিদা বেড়ে গেছে। যে কারণে দামেও কিছুটা প্রভাব পড়েছে। চিনির মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, জুট প্রোডাক্টস বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিলকে কোম্পানি আইনে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করার জন্য খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। কাউন্সিলের সদস্য এসোসিয়েশন হিসেবে এই খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট আটটি এসোসিয়েশনকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বিএনএ,জিএন