বিএনএ ডেস্ক: কয়েক দিনের তীব্র দাবদাহে ওষ্ঠাগত প্রাণ। শনিবার বিকেলে রাজধানীর অধিকাংশ সড়ক ছিল কিছুটা ফাঁকা, মানুষের চলাচল ছিল কম। যারা বাধ্য হয়ে বের হয়েছেন, তারা টের পেয়েছেন গরমে নাভিশ্বাস ওঠা কাকে বলে। ঘরের ভেতরও গুমোট অবস্থা। এর মধ্যে বিদ্যুৎ গেলে তো কথাই নেই, একেবারে সেদ্ধ হওয়ার দশা।
বৈশাখের কাঠফাটা রোদ পোড়াচ্ছে ঢাকাবাসীকে। বাতাসে যেন আগুনের হল্কা। ঢাকার এই খরতাপ গত ৫৮ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশেই এখন অগ্নিগর্ব। তীব্র গরমে রেললাইন বেঁকে গিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সতর্কতার সঙ্গে চলছে ট্রেন। ঝলসে যাচ্ছে ক্ষেতের ফসল। রোদে শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে আম-লিচু। তপ্ত রোদে দিনমজুর, রিকশাচালকরা রোজগারের তাগিদে পথে নামলেও ভয়ংকর রোদে কাহিল হয়ে পড়ছেন। হাসপাতালে বেড়েছে রোগী। হাঁসফাঁস করছে অন্য প্রাণিকুলও।
দেশের ১১টি জেলায় তীব্র দাবদাহ বইছে। সব জেলাতেই তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থেকেছে শনিবার। এর মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্ত জেলাটিতে টানা ১৪ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। দেশের বাকি জেলাগুলোতে চলছে মাঝারি দাবদাহ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমি বায়ু শুরু না হওয়ায় বড় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা এখনই নেই। এই দাবদাহ আরও বেশ কিছুদিন ধরে চলতে পারে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, তীব্র দাবদাহের কারণে দেশের নদী ও জলাশয় থেকে বাষ্পীভূত পানি ক্রমে মেঘ হতে পারে। সেখানে থেকে দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেটি আগামী ২২ এপ্রিলের আগে নয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার ঢাকায় সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬০ শতাংশ। এ সময় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা বাড়ার সঙ্গে ঢাকায় বাতাসের আর্দ্রতা কমে গিয়ে দাঁড়ায় ১৪ শতাংশ, বিকেলে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি। এর আগে ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল ঢাকার তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ