বিএনএ, চট্টগ্রাম: মাহে রমজান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। ক্ষুধার্তের যাতনা উপলব্ধির মাস। অন্যের প্রতি সদয় ও সহমর্মিতার মাস। সর্বোপরি মহান রবের পক্ষ থেকে পুরস্কার পাওয়ার মাস। হাদিসে রোজাদারদের জন্য দুটো পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে। যার একটি হলো ইফতার। হাদিসের ভাষায়, ‘রোজাদারের জন্য দুটো আনন্দ: একটি ইফতার, অন্যটি রবের সাক্ষাৎ।’ (তিরমিজি: ৭৬৬)
রোজাদার মানুষের ক্ষুধার্তের যাতনা উপলব্ধি ও মানবিকতা থেকে প্রতিবারের ন্যায় এবছরও শুকনা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করলেন এসএসসি’ ৮৫ চট্টগ্রাম। মানবিক ও সামাজিক এই মহৎ উদ্যেগকে সফল করতে শুক্রবার সকালে সংগঠনের বেপারিপাড়াস্থ কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন এসএসসি ৮৫’ চট্টগ্রামের বন্ধু ব্যারিস্টার সওগাতুল আনোয়ার খান, এনস্লেম মারটিন, এম জসিম উদ্দিন ক্যাপ্টেন জামান সেলিম, হাদিদুর রহমান, বিজয় শেখর দাস, সালেহ উদ্দিন সালু, শওকত হোসেন দেওয়ান, এনামুল কবির মিঠু, আশরাফ মাহমুদ, মোহাম্মদ আলমগীর, জাহিদ উল্লাহ, ইসমাইল চৌধুরী, ফজলুর রহমান স্বপন, আকতার হোসেন প্রমূখ।
ইফতার বিতরণ উপলক্ষে এক সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে এসএসসি ৮৫’ চট্টগ্রামের বন্ধুরা বলেন, প্রত্যেক ধনবান ব্যক্তি ও সংগঠনের উচিত তথাকথিত ইফতার পার্টি না করে ওই অর্থ দিয়ে গরীব ও নিঃস্ব মানুষকে শুকনা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা। এতে অপচয় রোধ হওয়ার পাশাপাশি গরীব মানুষের অনেক উপকার হয়। তারা কয়েক দিন এই সব শুকনা সামগ্রী দিয়ে ইফতার করতে পারে।
উপস্থিত এসএসসি ৮৫’র চট্টগ্রামের বন্ধুরা বলেন, ইফতার পার্টিতে অনেকে অতিরিক্ত খাবার নিয়ে অপচয় করে থাকে। এমনটি উচিত নয়। সবার লক্ষ্য রাখা উচিত ইফতারে কোনো খাবার যেন অপচয় না হয়। কেননা অপচয় করা আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন না। অপচয়কারী শয়তানের ভাই। অপচয় না করে গরিবদের দিয়ে দেওয়াই শ্রেয়। নিজে দামি ইফতার করার আনন্দের চেয়ে গরিব অসহায় সবাইকে নিয়ে সামান্য ইফতারিতে আনন্দটাই বড়।
পরে স্থানীয় গবীর ও নিঃস্ব মানুষের মধ্যে শুকনা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসএসসি ৮৫’ চট্টগ্রামের বন্ধু হাদিদুর রহমানের সৌজন্য পুরো অনুষ্ঠানটি লাইভ দেখার সুযোগ পান উপস্থিত না হওয়া বন্ধুরা।
বিএনএ/এমএফ/হাসনা