বিএনএ, ডেস্ক :বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড.মুহাম্মদ ইউনূস একটি ছেলেকে স্বৈরাচার পতনের মাস্টারমাইন্ড বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। সে যদি এক মাসে এতোবড় পরিবর্তন করে দেখাতে পারে, তাহলে কেন ছয় মাসেও জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারছে না? আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না? সে কেন আইনশৃংখলা বা খাদ্যের মাস্টারমাইন্ড হতে পারছে না?
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা আকরম খাঁ হলে গণতান্ত্রিক জাগ্রত বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ‘দেশের বর্তমান সংকট ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব প্রশ্ন করেন।
একটা বিশেষ গোষ্ঠী এক মাসের আন্দোলনকে পুঁজি করে কৃতিত্ব নিতে চায়। তারা তাদের অতীত এবং ভবিষ্যত দেখতে পায় না। ড. ইউনূস তাদের পাল্লায় পড়েছেন বলেন সামশুজ্জামান দুদু।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দেশের মানুষের আন্দোলন ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য, অথচ তারা নিজেরাই এখন গণতন্ত্রের জন্য বড় বাধা। জনগণ চায় যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন হোক, তারা সেটা হতে দিতে চায় না।
জামায়াত ইসলামীর নাম উল্লেখ না করে দুদু বলেন ‘আপনারা ব্যাংক দখল করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় দখল করেছেন, ভবন দখল করেছেন, হাট বাজার দখল করেছেন। বিএনপি তো কিছুই দখল করে নাই। তারপরও আপনারা বিএনপির দুর্নাম করে বেড়াচ্ছেন’।
ক্ষমতায় গেলে কেউ আর চেয়ার ছাড়তে চায় না উল্লেখ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, তারা জানেও না যে, দেশ পরিচালনা তাদের কাজ নয়।
তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরাই তৈরি করেছে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ। এরশাদের পতনও তারা নিশ্চিত করেছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতাও তারা ফিরিয়ে দিয়েছে। একইভাবে চব্বিশের আন্দোলনও সফল হয়েছে রাজনীতিবিদদের জন্যই।
সামশুজ্জামান দুদু প্রশ্ন তুলে বলেন, আপনারা এতো কথা বলেন, আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব কি আপনাদের চোখে পড়ে না? আরেকজন নেতা পুরো জীবন কাটিয়ে দিলেন দেশের পক্ষে কথা বলে। তার ত্যাগ কি আপনাদের চোখে পড়ে না?
আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে দুদু বলেন, ভারত ভারতের জায়গায় থাকুক, বাংলাদেশকে বাংলাদেশের জায়গায় থাকতে দিন। স্বাধীন বাংলাদেশে ভারতকে টেনে আনবেন না। ক্রীতদাসের শাসন এদেশের মানুষ বরদাস্ত করবে না। ১৭ বছর দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছে। দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বিএনএ/ সৈয়দ সাকিব, ওজি/এইচমুন্নী