স্পোর্টস ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের এই আসরে বাংলাদেশের শুরু ভালো হয়নি। তবে এরই মধ্যে দলে থাকা লতা মণ্ডলকে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকায় ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন সতীর্থ সোহেলী আক্তার। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে বিসিবি ও আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে (আকসু) জানিয়েছেন লতা। পুরো ঘটনা এখন আকসুর তদন্তাধীন।
কোনো বাজিকর সরাসরি প্রস্তাবটা দেননি লতাকে, তাদের হয়ে লতাকে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন জাতীয় দলে তারই এক সতীর্থ। আরও ভয়ংকর ব্যাপার, প্রস্তাবকারী ক্রিকেটার বার্তায় বিশ্বকাপ দলে থাকা আরও পাঁচ ক্রিকেটারের নাম জানিয়ে দাবি করেছেন, ওই পাঁচজনও ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত!
লতার স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিসিবি পরিচালক ও উইমেন্স উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, ‘আমাদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের একজন প্রস্তাব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আকসুকে জানানো হয়েছে। বাকি যা করার আকসু করবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকায় চলছে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, সেখানে দলের সঙ্গে আছেন লতা। শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করা বাংলাদেশ পরশু ৮ উইকেটে হেরেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার কাছেও। মাঠের পারফরম্যান্স যা-ই হোক, লতার প্রস্তুাব পাওয়ার ঘটনা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের মেয়েদের দলকে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা লতাকে হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পাওয়া আরেক ক্রিকেটার। বেসরকারি টিভি চ্যানেল যমুনা টিভি দুই বাংলাদেশি মেয়ে ক্রিকেটারের বার্তাসহ প্রতিবেদনও প্রচার করেছে। যে অডিও বার্তায় ‘অভয়’ দিয়ে লতাকে তারই সতীর্থ বলছেন, ‘আমি তোমার ক্ষতি কখনোই করব না। তোমার যখন ইচ্ছা তুমি খেলবা, যখন ইচ্ছা হবে না খেলবা না। তোমার মন চাইলে তুমি একটা খেলবা। কোন ম্যাচটা খেলবা তোমার ইচ্ছা, তুমি যে ম্যাচ অফার করো, তোমার সুবিধামতো।’
স্পট ফিক্সিংয়ে হিট আউট হলে ২০ লাখ আর স্টাম্পড হলে ৫ লাখ টাকা দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে প্রস্তাবকারী ক্রিকেটার বলেছেন, তার ‘চাচাতো ভাই’ বলেছেন, লতার কাছে অঙ্কটা কম মনে হলে আরও টাকা বাড়িয়ে দেয়া হবে।
এই ‘ভাই’টি কে বা ওই পাঁচ ক্রিকেটার কে, সেটাই সবার জিজ্ঞাসা। স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবের ঘটনা এবারই প্রথম নাকি এর আগেও এমন হয়েছে, সে প্রশ্নও উঠছে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ