বিএনএ, আদালত প্রতিবেদক : ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান মামলাটির পর্যবেক্ষণে বলেন, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার সবার রয়েছে।অভিজিৎ রায় একজন বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার ছিলেন। বাংলা একাডেমির বই মেলায় লেখকদের আড্ডায় অংশগ্রহণ করে ফেরার পথে আক্রমণের শিকার হন তিনি। নাস্তিকতার অভিযোগ এনে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্যরা, অর্থাৎ এ মামলার অভিযুক্তরাসহ মূল হামলাকারীরা সাংগঠনিকভাবে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনভাবে লেখালেখি ও মত প্রকাশের জন্য অভিজিৎ রায়কে নিজের জীবন দিয়ে মূল্য দিতে হয়। তাকে হত্যার উদ্দেশ্য হলো, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বন্ধ এবং নিরুৎসাহিত করা, যাতে ভবিষ্যতে কেউ স্বাধীনভাবে লেখালেখি ও মত প্রকাশ না করতে পারে।
উল্লেখ্য, অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে বই প্রকাশ ও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সস্ত্রীক দেশে আসেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অভিজিৎ রায়।ওইদিন রাতে ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পাঁচজন আসামির মৃতুদন্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির, ও মো. আরাফাত রহমান।যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামি হলেন- শফিউর রহমান ফারাবির।
আসামিদের মধ্যে মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব পলাতক রয়েছেন এবং অন্য চার আসামি কারাগারে রয়েছেন।
বিএনএ নিউজ/সাহিদুল, জেবি