বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিমের প্রচারণায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। সংঘাতের খবর পেয়ে রেজাউল করিম ওই এলাকায় গণসংযোগ না করে ফিরে যান।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রামের টাইগারপাস বটতল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মো. বেলাল এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আমির হোসেন বলেন, লালখানবাজার এলাকায় মারামারি হওয়ার ঘটনায় ছয় জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহতরা হলেন মাইনুদ্দীন হানিফ (৪০), নওশাদ রহমান (২০), মাহবুবুর রহমান (৬০), আসিফ (২১), জুয়েল (১৮) ও ইমন (২১)। তারা চমেকের ২৪নং ওয়ার্ডে ভর্তি আছে।
দলীয়সূত্রে জানা গেছে, লালখান বাজার ওয়ার্ডে রেজাউল করিম চৌধুরীর পূর্বনির্ধারিত গণসংযোগ কর্মসূচি ছিল। টাইগারপাস বটতল মোড়ে পথসভার একটি কর্মসূচি ছিল।
রেজাউল করিমকে স্বাগত জানাতে বটতল মোড়ে জড়ো হন কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মো. বেলাল ও তার অনুসারীরা। পরে সেখানে আসেন দিদারুল আলম মাসুম ও তার অনুসারীরা। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে ধাওয়া ও ইটের টুকরা নিক্ষেপ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আনে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মো. বেলাল বলেন, দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারীরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করছেন। মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের প্রচারণা উপলক্ষে জমায়েত হলে মাসুমের অনুসারীরা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের কর্মী মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ, মাহমুদ ও শাহীন আহত হন। তাদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে যে হামলা শুরু করেছে, সে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আমাদের হাতে এসেছে।
এদিকে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় আমাদের কর্মীরা জমায়েত হওয়ার সময় বেলাল গ্রুপের লোকজন পেছন দিক দিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বেলাল গ্রুপের সঙ্গে অনেক ছাত্রদলের নেতাকর্মীও যোগ দিয়ে আমাদের উপর হামলা করে।
এ বিষয়ে খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব হোসেন বলেন, বেলাল আর মাসুম গ্রুপের মধ্যে ঝামেলার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য আবুল হাসনাত মো. বেলাল শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। দিদারুল আলম মাসুম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
বিএনএনিউজ/মনির/ এইচ.এম।