বিএনএ ডেস্ক : স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বিজয় দিবস ও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তার সর্বোচ্চ চাদরে ঢেকে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অনুষ্ঠান ঘিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন পুলিশ, এপিবিএন, এসএসএফ, পিজিআরসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়াও বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোয়াট ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যেসব বিদেশি রাষ্ট্রীয় অতিথি আসবেন তাদের অবস্থানের জায়গাসহ যেসব স্থানে তারা যাবেন সেখানে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া তারা যেসব সড়ক ব্যবহার করবেন সবখানেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
পুলিশ বিভাগ থেকে জানানো হয়, নিরাপত্তার প্রশ্নে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা পালন করা পুলিশের জন্য অহংকার, মর্যাদা ও সম্মানের বিষয়। পুলিশের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিববর্ষের সমাপনী দিন উদযাপন ও বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারতের রাষ্ট্রপতি ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করছেন। এ সফরে ভারতের ফার্স্টলেডি, রাষ্ট্রপতির কন্যা, ভারতের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, দুজন সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
বিদেশি অতিথিদের অংশগ্রহণে বিজয় দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। ১৬ ডিসেম্বর প্যারেড স্কয়ারে কুচকাওয়াজ হবে বড় আকারে। সেখানে ছয়টি দেশ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক একটি প্যারেড হবে।
জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি থেকে ‘মহা বিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠান হবে। এসব অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেও থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৬ হাজার সদস্য। আকাশ থেকে হেলিকপ্টারেও চলবে টহল।
১৬ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে একটি শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। দেশের সংস্কৃতি, প্রকৃতি, পরিবেশ সবমিলিয়ে ৫০ বছরের অগ্রগতি তুলে ধরা হবে ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বরের দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে। সব শ্রেণিপেশার মানুষ এতে অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনাকে কেন্দ্র করেও নেওয়া হবে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা। বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করবেন।
বিএনএ/ ওজি