বিএনএ, কক্সবাজার: পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার চলমান বিচারকার্যের মুলতবি সাক্ষ্যগ্রহণের সপ্তম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। সোমবার (১৫ নভেম্বর) সোয়া ১০টার দিকে এসআই কামাল হোসেনসহ ৬জন সাক্ষী আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।
রাষ্ট্র পক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, এসআই কামাল হোসেনের জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সপ্তম দফা সাক্ষ্যগ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়। কামাল হোসেন ছাড়াও হাজিরা দেওয়া অপর সাক্ষীরা হলেন, পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, কনস্টেবল মোশারফ, ওসি এবিএম এস দৌহা, এএসপি জামিলুর ও রি-কল সাক্ষী সার্জেন্ট আয়ূব। এর আগে অন্যদিনের মতো বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমারসহ ১৫ আসামিকে আদালতে আনা হয়েছে। আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত এ সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব।
তদন্ত শেষে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় র্যাব। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে পুলিশের ৯ সদস্যরা হলেন, বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ।
অপর আসামিরা হলেন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
বিএনএ/ওজি