বিএনএ, বিশ্বডেস্ক: প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে এ সপ্তাহে চীনে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের এ সফরের লক্ষ্য— বেইজিংয়ের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করা।
আগামী ১৭ থেকে ১৮ অক্টোবর বেইজিংয়ে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেও যোগ দেবেন পুতিন।
জোরপূর্বক ইউক্রেনীয় শিশুদের রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে গত ১৭ মার্চ পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। ওই পরোয়ানার পর প্রথমবারের মতো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বাইরের কোনো দেশে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণ সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন পুতিন। এর কয়েকদিন আগে বেইজিংয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময় নিজেদের মধ্যে ‘সীমাহীন বন্ধুত্বের’ ঘোষণা দেয় দুই দেশ।
ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। তারা দেশটির উপর অসংখ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে ঠিক একই সময় রাশিয়ার সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে চীন। রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চললেও এখনো এর নিন্দা জানায়নি বেইজিং।
উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্র চীনকে তার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী এবং রাশিয়াকে তার সবচেয়ে বড় জাতি-রাষ্ট্রের জন্য হুমকি হিসাবে চিহ্নিত করেছে। এক্ষেত্রে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে রাশিয়া-চীন শক্তিপ্রলয় আরও জোরদার করতে এই সফর অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং বিল ক্লিনটনের অধীনে সাবেক সহকারী প্রতিরক্ষা সচিব গ্রাহাম অ্যালিসন বলেছেন, গত এক দশকে পুতিনের রাশিয়ার সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে পরিণতিমূলক অঘোষিত জোট তৈরি করেছেন চীনের শি। বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু শক্তিসম্পন্ন যুক্তরাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে যে তার বিরুদ্ধে এই দুই কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী যেন শক্তিশালী বিরোধী হয়ে দাঁড়াতে না পারে।
বিএনএ নিউজ/এমএফ