বিএনএ ঢাকা: আন্দোলন-সংগ্রামের ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হচ্ছে না-এমন দাবি হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আন্দোলনের ভয় কে কাকে দেখায়-তা বোধগম্য নয় বলেও জানান তিনি।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের চতুর্থদশ অধিবেশনে কুড়িগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাসের আগে জনমত যাচাই বাছাই এবং সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
সে সময় দীপু মনি বলেন, আওয়ামী লীগ তো সারাজীবন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে উন্নয়ন এনে দিয়েছে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। সেই আওয়ামী লীগকে কারা আন্দোলন দেখাবে? কারা তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে?জনবিচ্ছিন্নরা আন্দোলন করবে-তাতে ভয় পেতে হবে? সেটির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা হবে-এর থেকে হাস্যকর কথা আর কিছু হতে পারে না। সর্বস্তরের জনগণ সরকারের সঙ্গে আছে বলে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যে কলেজগুলো রয়েছে সেখানে প্রায় ২৮ লাখ শিক্ষার্থী আছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কলেজগুলো, অনার্স ও মাস্টার্স করার অবকাঠামো নেই, যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নেই, সেসব কলেজেও কোর্স চালু করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাধ্য হয়েছে। তার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জনপ্রতিনিধিরাই দায়ী। অনেকগুলো শতবর্ষী ভালো প্রতিষ্ঠান আছে। সেগুলো ছাড়া আর বাকিগুলোতে মাস্টার্সের বিষয় থাকবে না। সেগুলোতে অনার্স থাকবে, বিএ, বিএসসি, বিকম সেগুলো থাকবে। শিক্ষার্থীরা যাতে বিভিন্ন কর্মে যুক্ত হতে পারেন সেজন্য ডিপ্লোমা করানো হবে বলে জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ একথা একেবারেই সঠিক নয়। শ্রেণি কক্ষ বন্ধ ছিল কিন্তু অনলাইনে পাঠদান পুরোপুরি চলেছে। খুব একটা সেশন জটের সুযোগ এখন আর নেই।
শিক্ষার মান শিক্ষকের মান নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, এখান থেকে পাস করে দেশে এবং বিদেশে সর্বক্ষেত্রে যে সাফল্য দেখা যায়, তাতে শিক্ষার মান একেবারে তলিয়ে গেছে একথাটি বলবার সুযোগ নেই।
এদিকে, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০২১-এ বলা হয়েছে, এ বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাদান এবং গবেষণাসহ প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এখানে শিক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রমের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় টেকসই কৃষি প্রযুক্তি ও উচ্চ ফলনশীল কৃষিজ দ্রব্যের প্রদর্শনীর ব্যবস্থাও থাকবে।
নির্ধারিত শর্তে কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন কৃষিবিদ বা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা অধ্যাপককে চার বছরের জন্য উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি। কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি উপচার্য থাকতে পারবেন না।
এছাড়া, জাতীয় সংসদে বুধবার উত্থাপিত বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট বিল, ২০২১, বাংলাদেশ মেডিকেল ডিগ্রিজ (রিপিল) বিল, ২০২১ ও বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ গভর্নিং বডিজ (রিপিল) বিল, ২০২১ পাস করা হয়।
বিএনএনিউজ/আরকেসি