17 C
আবহাওয়া
৯:৩০ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-১৬৮ (মানিকগঞ্জ -১)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-১৬৮ (মানিকগঞ্জ -১)


বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে  মানিকগঞ্জ -১ আসনের হালচাল।

মানিকগঞ্জ-১ আসন 

মানিকগঞ্জ-১ সংসদীয় আসনটি দৌলতপুর, ঘিওর এবং শিবালয় উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ১৬৮ তম আসন।

YouTube player

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭ শত ৮২ জন। ভোট প্রদান করেন  ৯৯ হাজার ৪ শত ১৯ জন। নির্বাচনে বিএনপির খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৪৬ হাজার ৮ শত ১৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের সিদ্দিকুর রউফ খান। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২০ হাজার ৪ শত ১৫ ভোট।

ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিএনপির খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি,প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল,অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই নির্বাচনে বিএনপির খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন  কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির  খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ  ৪৮  হাজার ৪ শত ৮৫ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ  ১৫ হাজার ৫ শত ৮৯ জন। নির্বাচনে  বিএনপির  খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৪৪ হাজার ৫ শত ২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের এ এম সাইদুর রহমান। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩৩ হাজার ১ শত ৬১ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির  খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বিজয়ী হন

২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ২ হাজার ৮ শত ৩৪ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৫১ হাজার ১ শত জন। নির্বাচনে  বিএনপির  খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বিজয়ী হন। ধানের শীষ  প্রতীকে তিনি পান ৮৫ হাজার ৪ শত ৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের আব্দুস সালাম। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৫৯ হাজার ৫ শত ৪১ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের এ বি এম আনোয়ারুল হক  বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ১ হাজার ২ শত ৩৮ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৭২ হাজার ৫ শত ৬ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এ বি এম আনোয়ারুল হক  বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩ শত ২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন । ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ১ হাজার ৬ শত ১২ ভোট।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের এ এম নাইমুর রহমান  বিজয়ী

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫ শত ২৫ জন। ভোট প্রদান করেন  ৯৭ হাজার ৭ শত ৪৯ জন। নির্বাচনে  আওয়ামী লীগের এ এম নাইমুর রহমান  বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৮১ হাজার ১ শত ২৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাসদের আফজাল হোসেন খান জোকি। মশাল প্রতীকে তিনি পান মাত্র ১৪ হাজার ৩ শত  ভোট। । তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে  বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে নি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের এ এম নাইমুর রহমান বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৬ শত ১০ জন। ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ৭ শত ৫৪ জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৫ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের এ এম নাইমুর রহমান, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলনের খোরশেদ আলম, হারিকেন প্রতীকে মুসলীম লীগের ফারুক হোসেন আসাদ, সিংহ প্রতীকে স্বতন্ত্র পার্থী এ বি এম আনোয়ারুল হক প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে  আওয়ামী লীগের এ এম নাইমুর রহমান  বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ৫৩ হাজার ১ শত ৫১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ৫৮ হাজার ১ শত ৮২ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ৫ম, ষষ্ঠ, ৭ম, অষ্টম সংসদে বিএনপি এবং নবম,  দশম ও একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর মানিকগঞ্জ -১ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, মানিকগঞ্জ -১ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৫৫.৯২% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২০.৫৩%, বিএনপি ৪৭.০৯%, জাতীয় পাটি ১০.২৭%,, জামায়াত ইসলামী ৫.৭৭% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১৬.৩৪%  ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৭.৮৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৮.৬৯%, বিএনপি ৩৮.৫০% জাতীয় পাটি ২৫.৮৯%, জামায়াত ইসলামী ১.৭১ % স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৫.২১ %  ভোট পায়।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৪.৪৯ % ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৯.৪১%, ৪ দলীয় জোট ৫৬.৫৫%, জাতীয় পাটি ৩.৫১%,, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৫৩%  ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৯.৯০% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৫৪.৪০%,, ৪ দলীয় জোট ৩৭.৮২% , স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৭.৭৮%ভোট পায়।

মানিকগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাইবেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক,  যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রানালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রানালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এ. এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, এছাড়া আরও মনোনয়ন চাইবেন, সাবেক সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা এ.বি.এম আনোয়ারুল হক, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জজ কোর্টের পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট আব্দুস ছালাম, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম জাহিদ, সেচ্ছাসেবকলীগে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম রাজা,  শিবালয় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রেজাউর রহমান খান জানু।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মানিকগঞ্জ  জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক, মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক নেতা এস.এ জিন্নাহ কবির, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব, সাবেক চীফ হুইপ প্রয়াত এ্যাড: খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কৃষিবিদ ড.খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: তোজাম্মেল হক তোজা,

জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইবেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ । জাসদ থেকে মনোনয়ন চাইবেন ঘিওর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন জকি ।

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায, মানিকগঞ্জ-১ সংসদীয় আসনটি একক কোন রাজনৈতিক দলের ঘাঁটি নয়। কখনো আওয়ামী লীগ কখনো বিএনপি এই আসনটিতে রাজনত্ব করেন। ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচন থেকে ২০০১ অষ্টম সংসদ নির্বাচনে টানা বিএনপি রাজত্ব করেন।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের মাধ্যেম এই আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে আসে। যা একাদশ সংসদ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এই আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দূর্জয় এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য  তরা ব্রীজ থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত এই মহাসড়কটিকে চার লেনে উন্নীতকরণ, পাটুরিয়া  শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আরিচায় ইকোনোমিক জোন, মহাসড়কের জরাজীর্ণ সেতু মেরামত ও নতুন করে নির্মাণ, নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুত সরবারহ, যমুনা নদী ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ সিসি ব্লক দিয়ে পাড় নির্মাণ, ঘিওরের সিংজুরী-বৈকন্ঠ পুর  ব্রীজ নির্মাণ,  আরিচা-দৌলতপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের ঘিওর ব্রীজ ও রাস্তা নির্মাণসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প এখন দৃশ্যমান। এসব উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে দুর্জয় জয় করেছে এলাকার মানুষের হৃদয়।

আওয়ামী লীগে রয়েছে দলীয় কোন্দল। যা মনোনয়নকে কেন্দ্র করে প্রকট হচ্ছে। বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা মজবুত। দলীয় কোন্দলে জর্জরিত হলেও তৃণমূল পর্যায়ে রয়েছে প্রচুর ভোট । সব মিলিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ১৬৮তম সংসদীয় আসন (মানিকগঞ্জ-১) আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হাড্ডাহাডি লড়াই হবে।

বিএনএ/শাম্মী, রেহানা, ওজি, ওয়াইএইচ

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ