বিএনএ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধু স্বপ্ন দেখলে চলবে না, স্বপ্ন বাস্তবায়নেরও উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার, সেটাই নিশ্চিত করেছি। কে কোন দল, সেটা বিবেচনা করিনি। শনিবার(১৫ জুলাই) ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ীদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি ব্যাংক, বীমা, হেলিকপ্টার সার্ভিস, বিমান, মিডিয়া থেকে শুরু করে বেসরকারি টেলিভিশন, শিল্প কারখানা, হাসপাতালসহ যেখানে যা কিছু প্রয়োজন সবকিছু তৈরি করার জন্য বেসরকারি খাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আর এক একটা কাজ করতে গিয়ে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়। মেট্রোরেল করার সময় শুনতে হলো, ‘৩৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মেট্রোরেল করার কী দরকার। ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করলেই তো নাকি সব সমাধান হয়ে যায়।’ অবশ্য ভালোই একদিকে। আমি বেসরকারিখাতে অনেক টেলিভিশন দিয়েছি, সেখানে সবাই টকশো করে আর টক টক কথা বলেন। সেই টক টক কথা শুনতে হয়।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আজকের বাংলাদেশের সঙ্গে সেই ৮১ সালের বাংলাদেশের অনেক তফাৎ। অনেকেই বলেছিলেন যে, ‘এতো ব্যাংক দিয়ে কী হবে? বাংলাদেশের অর্থনীতি তো এতোবড় না।’ আমার কথা ছিল, অর্থনীতি তো এতো ছোটো থাকবে না, অর্থনীতি বড় করার জন্যই তো আমাকে দিতে (ব্যাংক) হবে। কাজেই সেইভাবেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিমউদ্দিন, পোর্টল্যান্ড গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিজানুর রহমান মজুমদার সহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ।
সম্মেলনে আরো যারা বক্তব্য রাখেন
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, আবদুল মাতলুব আহমদ, মীর নাসির হোসেন ও কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতির সভাপতি মির্জা নুরুল গনি শোভন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)’র মোহাম্মদ আবুল বাশার, বেসিস সভাপতি রাসেল টি. আহমেদ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শেখ নাসির উদ্দিন, বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি নিহাদ কবির, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএপিআই) সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মুক্তাদির, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মো. মাহবুব-উর রহমান, এফআইসিসিআই সভাপতি নাসের ইজাজ বিজয়, বাংলাদেশ নারী শিল্প ও বণিক সমিতির (বিডব্লিউসিসিআই) সভাপতি সেলিমা আহমেদ, জেবিসিসিআই সভাপতি মিউং-হো লি, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান ইন্ডিটেক্স-এর আঞ্চলিক প্রধান জাভিয়ের কার্লোস সান্তোজা ওলসিনা, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান, বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম, সাবেক এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বারস অব কমার্স বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রমুখ ।
বিএনএ/ ওজি,জিএন