বিএনএ, নোবিপ্রবি : নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের আয়োজনে ‘রেইনওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেম’ শীর্ষক বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি সেমিনার রুমে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী।
বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ওপর আয়োজিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খালেদ সাইফুল্লাহ, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্ল্যাহ খানের পক্ষে প্যানেল মেয়র ফখরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ভূঞা, আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহেমেদ, ওয়াটার এইড বাংলাদেশ এর টেকনিক্যাল হেড তাহমিদুল ইসলামসহ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মহিনুজ্জামান।
উক্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন নোয়াখালীর বিভিন্ন এনজিওর সদস্য, দুটি পৌরসভার আবাসিক বাসিন্দাসহ পৌরসভাসমূহে কর্মরত প্রকৌশলীরা।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী তার বক্তব্যে বলেন, ‘এই ধরণের আয়োজনকে স্বাগত জানাই। নানা পেশার মানুষ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে আজকের এ কর্মশালা সবার কাজে আসবে বলে মনে করি। নিরাপদ পানির অন্যতম উৎস হচ্ছে বৃষ্টির পানি। এ পানি সংরক্ষণ নোয়াখালীর মত উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহণ করে। কারণ এ অঞ্চলে স্বাদু পানির উৎসের যথেষ্ট অভাব রয়েছে।’ তিনি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপসহ নোবিপ্রবিতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে কাজে লাগানোর আশ্বাস দেন।
নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘পানির বর্তমান যে উৎসগুলো রয়েছে তার সঙ্গে বৃষ্টির পানি যোগ করতে হবে। এতে লবণ, আয়রণ এবং আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যাবে।’ অনুষ্ঠানের অন্যান্য বক্তারাও বৃষ্টির পানি কিভাবে কাজে লাগানো যায় তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. মোহাম্মদ মহিনুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব নানা কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আমাদের আজকের এ আয়োজন। আমি আশা করি এ কর্মশালার মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণকারীরা যথাযথ বৈজ্ঞানিক উপায়ে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের বিষয়ে জানতে ও শিখতে পারবে।
অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগীতায় ছিল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ওয়াটার এইড বাংলাদেশ, কোস্টাল এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্ক (কোয়েন), চৌমুহনী পৌরসভা ও নোয়াখালী পৌরসভা।
বিএনএনিউজ/শাফি/এইচ.এম।