26 C
আবহাওয়া
৪:০৫ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ধামরাইয়ে সিনিয়র নেতাদের ব্যর্থতায় নৌকার ভরাডুবি!

ধামরাইয়ে সিনিয়র নেতাদের ব্যর্থতায় নৌকার ভরাডুবি!

ধামরাইয়ে সিনিয়র নেতাদের ব্যর্থতায় নৌকার ভরাডুবি!

বিএনএ,সাভার : দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল, সিনিয়র নেতাদের ব্যর্থতা ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে। দলীয় বিদ্রোহী ৫ প্রার্থীর ব্যাপক প্রচার প্রচারণায় নির্বাচনের শুরু থেকেই কোনঠাসা হয়ে পড়েন আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম রাজা।

শুধু তাই নয় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা উপেক্ষা করে দলের নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হলেও দলের সিনিয়র নেতারা তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোন ব্যবস্থা নেননি। বরং নেতারা নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করেন বলে তৃণমূল আওয়ামীলীগের অভিযোগ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৃণমূল আওয়ামীলীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা জানান, এ সুযোগ ব্যক্তিগত ইমেজ কাজে লাগিয়ে ভোটের রাজ্যে তর তর করে সামনে এগিয়ে যান চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক সফল চেয়ারম্যান মো. রমিজুর রহমান চৌধুরী রোমা। আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাকর্মীদের ব্যর্থতায় বিদ্রোহীরা যত শক্ত অবস্থানে যান স্বতন্ত্র প্রার্থী রমিজুর রহমান চৌধুরী রোমা আরও সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যান। আর এরই সুবাদে তিনি বিজয়ের নোঙরে পৌঁছে যান বিপুল ভোটের ব্যবধানে।

এ ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ২৪,৬৯৩ জন। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ১৭,৫৯৪ জন ভোটার। ১৩টি কেন্দ্রের অধিকাংশ কেন্দ্রেই এস্বতন্ত্র প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। তিনি মোট পেয়েছেন ৮ হাজার ৭৯৩ ভোট। পক্ষান্তরে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম রাজা পেয়েছেন ৬,৯০৪ ভোট।

ক্ষুব্দ আওয়ামীলীগ নেতারা বলেন, ঢাকা-২০, ধামরাই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ধামরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ মালেক এবং বর্তমান সংসদ সদস্য ও ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধের কারণে সাংগঠনিকভাবে আওয়ামীলীগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জাতীয় কোন কর্মসূচীতে পর্যন্ত এ দুই বলয়ের কোন নেতাকর্মী একমঞ্চে যায়না।

‘এরই সুবাদে ২০২১ সালের ১১ নভেম্বরের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭ বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি এ দুই হেভিওয়েট নেতার মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে। এ সুযোগটিই কাজে লাগিয়ে সূতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনেও নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হন। আর এরই সুবাদে ভাগ্যসু-প্রসন্ন হয় ও কপাল খুলে যায় স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের রমিজুর রহমান রোমার।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী রমিজুর রহমান চৌধুরী রোমা বলেন, এ বিজয় জনতার বিজয়। ভোটারদের ভালবাসায় এ বিশাল বিজয় এসেছে। এ বিজয় আমি ইউনিয়নবাসীর জন্য উৎসর্গ করলাম। গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। জনগণের এ ভালবাসা আমি কোনদিন ভুলবোনা।

নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম রাজা বলেন, দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে আমার নিশ্চিত বিজয়পথ থেমে গেছে। এ প্রতিকুলতার মাঝেও আমাকে ভোটাররা অনেক ভোটই দিয়েছেন। আমি ইউনিয়নবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ।

বিএনএনিউজ২৪.কম/ইমরান খান/এনএএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ