বিশ্ব ডেস্ক: এশিয়ার অন্যতম সামরিক জান্তা শাসিত দেশ মিয়ানমারে ঘূর্ণিঝড় মোচার আঘাতে কমপক্ষে ৫ নিহত ও ৭ শতাধিক লোক আহত হয়েছে।দেশটির লাখাইন প্রদেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী সিত্তে শহর সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে হতাহত ও ঘরবাড়ি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সিত্তে রাখাইন যুব সমাজের একজন নেতার মতে, বহু লোক শহরের উচ্চভূমির মঠ, প্যাগোডা এবং স্কুলের মতো শক্ত ভবনে আশ্রয় নিয়েছিল।
গাছপালা ও টিনের চালের আঘাতে কিংবা ঘরের উপর গাছ পড়ে হতাহত হয়েছে।
নাম প্রকাশে যুব নেতা বলেন, রবিবার বিকেলে ঘূর্ণিঝড় মোচা রাখাইন রাজ্যে আঘাত হানার ফলে সমুদ্রের পানি উপকূলের কাছাকাছি ১০টিরও বেশি নিচু ওয়ার্ডে প্রবেশ করেছে।বেশির ভাগ ঘরবাড়ির নিচতলা ডুবে যায়।
সোমবার(১৫মে২০২৩) সকালে দেখা যায়, জলোচ্ছ্বাসের পানি প্রায় ১.৫ মিটার উঁচু ছিল, তবে বাতাস শান্ত হওয়ায় এবং আকাশে সূর্য উঠায় দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করা গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম ও উদ্ধারকারী দলগুলো মিয়ানমারে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে।
মায়ানমারের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রতি ঘণ্টায় 209 কিলোমিটার (130 মাইল) বেগে বাতাস বয়ে নিয়ে মোখা সিত্তওয়ে শহরের কাছে ভূমিতে উঠে যায়।
সোমবার সকাল নাগাদ, এটি তার গুরুতর অবস্থা থেকে নিচের দিকে নেমে গিয়েছিল এবং ভারতের আবহাওয়া দফতর অনুসারে ক্রমাগতভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল।
রাজ্য প্রশাসনিক পরিষদ রাখাইন রাজ্যের ১৭টি টাউনশিপকে দুর্যোগ পূর্ণ এলাকা ঘোষণা করেছে।
দেখা যায়,ঘূর্ণিঝড়টি যখন রাখাইন প্রদেশ অতিক্রম করছিল তখন প্রবল বাতাস সেল ফোন টাওয়ারগুলিকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয়। বহুঘরবাড়ির ছাদ ও চালা উড়িয়ে নিয়ে যায়।
মিয়ানমারের সামরিক তথ্য অফিস জানিয়েছে, ঝড়ের কারণে সিটওয়ে, কিয়াউকপিউ এবং গওয়া শহরে বাড়িঘর এবং বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, দেশের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে কোকো দ্বীপপুঞ্জেও বেশ স্থাপনা ও ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিএনএ,জিএন