18 C
আবহাওয়া
১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » লকডাউনে অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

লকডাউনে অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

লকডাউনে অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

বিএনএ ডেস্ক:করোনার সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন।সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে মুসলমানদের পবিত্র মাহে রমজান। লকডাউন আর রমজানের কারণে বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। চাল-ডাল-তেলসহ সব ধরনের শাক-সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া। ফলে বাজারে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন সীমিত আয়ের মানুষ।

বাজারগুলোতে তিনদিন আগের ১৮ থেকে ২০ টাকায় যে আলু বিক্রি হতো, এখন সেই আলু প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। ৩৫ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, ৬০ টাকা কেজির আদা বিক্রি হচ্ছে একশ থেকে ১১০ টাকা দরে। সেইসঙ্গে সব ধরনের চালের দাম বেড়ে গেছে । প্রতিকেজি চালে ৩ থেকে ৪ টাকা বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা। পাশাপাশি  ডিমের দামও বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি হালি ডিম ২৮ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

রোজার অজুহাতে বাজারে বেগুনের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। বেগুনের এমন দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

গত সপ্তাহের চেয়ে ৫০ টাকা বেড়ে হাড়সহ গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬শ থেকে ৬৫০ টাকায়। নতুন করে দেশি মুরগির দাম না বাড়লেও বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম।

বয়লার মুরগি

কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি শিম ৮০ থেকে ৯০ টাকা, টমেটো ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাকরোল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, ওলকচু ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা,  আলু ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, তিতা করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, লাউ প্রতিকেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কচুমুখী ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঝিঙে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস

এদিকে, করোনাকালিন বাজারে নিত্যপণ্যের দাম  স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা। এ সময়ে বাজার মনিটরিং করা হলে পণ্যের দাম আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাদের।

এ ব্যাপারে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সরকারের মনিটরিং না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের মধ্যে সরকার সরাসরি আমদানির মাধ্যমে বাজারে ছোলা, চিনি, চাল, পেঁয়াজ ও ডাল সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিলে বাজার ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়তো না।

তিনি বলেন, ভোক্তাস্বার্থ রক্ষায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পৃথক বিভাগ অথবা স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় গঠন করা উচিৎ। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি মন্ত্রণালয় কাজ করছে; অথচ তাদের সমন্বয় নেই। তাই পৃথক বিভাগ বা মন্ত্রণালয় দরকার বলে মনে করেন এস এম নাজের হোসাইন।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ