বিএনএ, ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় নিজ রুমে সামছুদ্দিন খান (৭০) এক বৃদ্ধকে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার(১৫ মার্চ)দুপুরে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের ৮০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
উত্তরা বিভাগের পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোর্শেদ আলম বলেন, “একটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ তথ্য এখন বিস্তারিত দেওয়া সম্ভব হবে না ।পাঁচতলা ওই ভবনের পাঁচতলায় থাকতেন সামছুদ্দিন, তার স্ত্রী, ছেলে রিপন, পুত্রবধূ ও নাতি।
নিহতের স্বজন মোমিন হোসেন জানান, দুপুরে তানভীর নামে রিপনের এক ফুপাত ভাই ও তার দুজন বন্ধু বাসায় আসেন। ওই সময় রিপন ও তার স্ত্রী ছিলেন যার যার কর্মস্থলে, আর তাদের সন্তান ছিল স্কুলে। বাসায় তখন সামছুদ্দিন ও তার স্ত্রী ছিলেন। নাতিকে স্কুল থেকে আনতে বাড়ি থেকে বের হন শামছুদ্দিনের স্ত্রী, তখন তানভীর ও তার দুই বন্ধু ঘরেই ছিলেন বলে জানান মোমিন।
তিনি বলেন, “কিছুক্ষণ পর ফিরে বাসায় এসে চাচি (সামছুদ্দিনের স্ত্রী) কলিংবেল টিপলে তানভীর দরজা খুলে দেয়। সামছুদ্দিনের বিষয়ে জানতে চাইলে তানভীর বলে, ‘ভেতরে ঘুমাচ্ছে’।চাচি ভেতরে গিয়ে দেখেন চাচা মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তখনও বেঁচে ছিলেন। কে মেরেছে- বললে তানভীরের কথা বলেন চাচা। চাচি সামনের কক্ষে এসে দেখেন তানভীর ও তার দুই বন্ধু তখন নেই। ভয় পেয়ে চাচি দরজা বন্ধ করে সবাইকে খবর দেন।সামছুদ্দিনকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।শামছুদ্দিনের গলা ও শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে তিনি জানান।
বৃদ্ধ সামছুদ্দিনকে বাসায় একা রেখে যাওয়ার বিষয়ে মোমিন বলেন, “তানভীর (শামছুদ্দিনের ভাগ্নে) তো আত্মীয়, এই জন্য চাচির কোনো সন্দেহ ছিল না। ঘর থেকে অনেক কিছু খোয়া গেছে। তিনি জানান, ফার্নিচারসহ বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।
সামছুদ্দিনের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে। তার দুই ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।
বিএনএ/ আজিজুল, ওজি