বিএনএ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আড়াই লাখ একক কন্টেইনার পরিবহন করেছে শিপিং কোম্পানিগুলো। তারমধ্যে পণ্যভর্তি রপ্তানি কন্টেইনার ৬১ হাজার ২০৯ একক এবং খালি কন্টেইনার বিদেশে গেছে ৫৮ হাজার ৪২০ একক। যা মোট কন্টেইনার পরিবহনে ২৪ শতাংশই ছিল খালি কন্টেইনার।
শিপিং লাইন সংশ্লিষ্টদের মতে, সপ্তাহে রপ্তানি পণ্য পাঠাতে গড়ে ১৬শটি ৪০ ফুট খালি কন্টেইনার প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমদানি পণ্য খালি হওয়ার পর খালি কন্টেইনার থাকে সর্বোচ্চ ৮শটি। আর বিদেশ থেকে ৪০ ফুট কন্টেইনার সপ্তাহে আনতে পারে সর্বোচ্চ ২শটি। বাকি খালি কন্টেইনার বিদেশ থেকেও আনতে না পারায় সংকটটা বড় আকার ধারণ করেছে। একটি ৪০ ফুট দীর্ঘ খালি কন্টেইনার কলম্বো বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের আনতে খরচ হয় ৫৫০ মার্কিন ডলার।
এ বিষয়ে মেডেটেরিয়ান শিপিং কোম্পানির সহকারী মহাব্যবস্থাপক আজমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, আমাদের যে পরিমাণ পণ্য কন্টেইনার আমদানি হয়; সেই তুলনায় রপ্তানি হয় খুবই কম। ফলে ভারসাম্য না থাকায় আমদানি পণ্য নামিয়ে জাহাজগুলোকে খালি কন্টেইনার বিদেশে নিয়ে যেতে হয়।
তিনি বলেন, আমদানি পণ্য নামিয়ে রপ্তানি পণ্যভর্তি হয়ে কিছু কন্টেইনার বিদেশে যায় কিন্তু এবার বিশ্বজুড়ে খালি কন্টেইনার সংকটের কারণে বেশি পরিমাণ খালি কন্টেইনার বিদেশে পাঠানো হয়েছে। অবশ্য বিশ্বজুড়ে খালি কন্টেইনার সংকটের কারণে আমরা বিদেশ থেকে খালি কন্টেইনার এনে রপ্তানি পণ্যের জাহাজীকরণ অনটাইম রেখেছি।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে জাহাজ পরিচালনাকারী শিপিং লাইনগুলোর হিসেবে, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি হয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৪৯৮ একক কন্টেইনার। আর খালি আমদানি হয়েছে মাত্র ৭৪৮ একক। এছাড়া রপ্তানি পণ্যভর্তি হয়ে ৬১ হাজার একক কন্টেইনার বিদেশে গেছে। আর চট্টগ্রাম থেকে খালি গেছে ৫৮ হাজার ৪২০ একক কন্টেইনার। সবমিলিয়ে ২ লাখ ৪১ হাজার ৮৭৫ একক কন্টেইনার পরিবহন করেছে জাহাজ কোম্পানিগুলো। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি খালি কন্টেইনার চট্টগ্রাম থেকে পাঠিয়েছে বিদেশি কোম্পানি মার্কস লাইন যার পরিমাণ ৭ হাজার ৬৮২ একক। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়েন্ট ওভারসিজ কন্টেইনার লাইন খালি কন্টেইনার পাঠিয়েছে ৬ হাজার একক।
বিএনএনিউজ/মনির, এসজিএন