বিএনএ, ঢাকা: আগামীকাল বুধবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। এছাড়া ভোটের তারিখ সম্ভাব্য রাখা হয়েছে ৬ জানুয়ারি।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় তফসিল ঘোষণার লক্ষ্যে কমিশন সভা আহবান করেছে ইসি। এবারই প্রথম সরাসরি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের এই তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি। সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) কমিশনের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে তফসিলের ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইসি সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ইসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তফসিল ঘোষণার লক্ষ্যে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নির্বাচন ভবনে সব ধরনের দর্শনার্থী প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি। লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে গেজেট আজ মঙ্গলবার প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত আছে কমিশনের। গেজেট শেষে আজ অথবা কাল সকালে ঐ দুই আসনের নির্বাচিত দুই সংসদ সদস্যের শপথ অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য বুধবার তফসিল ঘোষণার জন্য উপযুক্ত বিবেচনা করেছে ইসি।
গত ৯ নভেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অনুমতি নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। দ্রুত সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এছাড়া তফসিল ইস্যুতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন সিইসি।
অন্যদিকে, তফসিল ঘোষণা না করার জন্য বিরোধিতা করে আসছে বিরোধী দলগুলো। বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করে নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগের দাবি জানান। তিনি বলেন, শিডিউল ঘোষণা করবেন না, করলে জাতি আপনাদের অভিশাপ দেবে। এর ফলে সংবিধানও লঙ্ঘন হবে, অন্যায়ও হবে।
এদিকে, তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন ভবনের আশেপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকে নির্বাচন কমিশনের সামনে ও আশেপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে চারটি দলে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যা গতকাল বা তার আগে ছিল না। এছাড়া, নির্বাচন কমিশন ভবনে ঢুকতে হলেও গেটের সামনে পুলিশি জেরার অতিক্রম করতে হচ্ছে সবাইকে। পাশাপাশি পুলিশি টহলও বাড়ানো হয়েছে। কিছুক্ষণ পরপরই পুলিশের গাড়ি নির্বাচন কমিশনের সামনে দিয়ে টহল দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন হয় ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। তাই সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান সংসদের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। পরবর্তী সংসদের জন্য ভোটগ্রহণ করতে হবে তার আগের নব্বই দিনের মধ্যে। অর্থাৎ গত ১ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে। আর ২৯ জানুয়ারির মধ্যে রয়েছে নির্বাচন সম্পন্ন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩। আর ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি।
বিএনএ/এমএফ