বিএনএ ডেস্ক: পদ্মা সেতুতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের তুলনায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ টাকা খরচ হয়েছে। এ কথা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পদ্মা সেতু ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের তুলনামূলক খরচের হিসাবটা নিজে সংসদে দিয়েছিলেন উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খরচের তুলনামূলক হিসাবটা ধরা হয় স্বর্ণের মূল্য দিয়ে। কারণ টাকার মূল্যমান বা ডলারের মূল্যমান স্ট্যাটিক নয়, কিন্তু স্বর্ণের মূল্যমান স্ট্যাটিক। সেই হিসাবে পদ্মা সেতুতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের তুলনায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ টাকা খরচ হয়েছে।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
বিএনপি নেতারা পদ্মা সেতু দিয়ে ফরিদপুরের সমাবেশে যাওয়া আসা করেছেন এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে চরম অপপ্রচারকারী বিএনপি নেতাদের লজ্জা থাকলে তারা সেতুতে ওঠার আগে প্রধানমন্ত্রী ও জাতির কাছে ক্ষমা চাইতেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী সবার জন্যই পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের আসলে লজ্জা নেই। লজ্জা যদি থাকতো তাদের বলা উচিত ছিল- পদ্মা সেতুতে ওঠার আগে আমরা যে এ নিয়ে অপপ্রচার করেছি সেজন্য জাতির কাছে, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। লজ্জা-শরম নেই তো, সে জন্য তারা চুপিসারে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যাওয়া আসা করেছেন।
জনগণ তাদের কাছ থেকে সরে গেছে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা যতই আন্দোলন করছে, তাতে আওয়ামী লীগের একটা লাভ হচ্ছে-আওয়ামী লীগের কর্মীরা চাঙ্গা হচ্ছে এবং অপশক্তিকে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের একটা গুণ হচ্ছে কেউ যদি খোঁচা দেয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা তখন ঐক্যবদ্ধ হয়, উজ্জীবিত হয়। সেটিরই বহিঃপ্রকাশ আপনারা দেখেছেন যে যুবলীগের সম্মেলনে লাখ লাখ যুবকের সমাবেশ হয়েছে। তাদের মতো এতো হাঁকডাক দেয়নি। আর এটি আওয়ামী লীগের নয়, যুবলীগের সমাবেশ, তাতেই লাখ লাখ যুবকের সমাবেশ ঘটেছে।
সরকারের পতন হলে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয় সরকার হবে, মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, হাওয়া ভবনের বিশ্বচোর আবার বাংলাদেশে আসবে। তার নেতৃত্বেই তারা জাতীয় সরকার গঠন করতে চায়। দেশের মানুষ এটা কখনো মেনে নেবে না।
কপ-২৭ : উন্নত বিশ্বের জলবায়ু সহায়তায় শুভঙ্করের ফাঁকি
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলো বলেছে গত বছর তারা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলার আন্তর্জাতিক তহবিলে ৮২ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। এর মধ্যে একটা বিরাট শুভঙ্করের ফাঁকি আছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্ব জলবায়ু অর্থায়নের বিষয়ে প্যারিস চুক্তিতে স্পষ্ট লেখা আছে, ‘ইন এডিশন টু প্রেজেন্ট ওডিএ (ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট এসিস্ট্যান্স)’। অর্থাৎ বর্তমানে উন্নত বিশ্ব যে ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট এসিস্ট্যান্স দেয়, সেই অর্থ এই তহবিলে যুক্ত বলে গণ্য হবে না। জলবায়ু তহবিলে এর অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে। কিন্তু তারা বর্তমান ওডিএ’র অর্থায়নকেও যুক্ত করে গত বছর উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ৮২ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে বলে একটি হিসাব দাঁড় করিয়েছে। এর সাথে আমরা একমত নই।
বিএনএ/এ আর